ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা হবেন নথিভুক্ত
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব নাগরিককে নথিভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এর আওতায় বিদেশে যে বাংলাদেশিরা আছেন, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশে বসবাস করা বিদেশিদেরও গণনায় আনা হবে।
বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫ বার আদমশুমারি হয়েছে। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিবারই এই গণনার বাইরে থেকেছে। তাই ৬ষ্ঠ জনশুমারি প্রকল্পে সে বিতর্কের অবসান চায় সরকার। শুমারিতে মূল গণনার আগেই করা হবে পূর্ণাঙ্গ তালিকা। এতে অ্যাপসের মাধ্যমেও অংশ নেয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার বলেন, এবার জনশুমারি প্রকল্পে থাকবে অত্যাধুনিক তদারকির ব্যবস্থা। কাগজ-কলমে গণনা আর নাও হতে পারে। কেউ যদি ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করে সেটা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ধরা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা আর গণনার ফলাফল নির্ভুল রাখতে চায় সরকার। কারণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রকল্পটি ২০১৯ এর অক্টোবরে একনেকে অনুমোদন পায়। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রয়েছে মেয়াদ। এতে ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি চলবে মূল গণনা কার্যক্রম। এ সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই চলবে কার্যক্রম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, সুপারভিশন থেকে শুরু করে যারা ডাটা সংগ্রহ করবেন, সেই পর্যন্ত দক্ষ জনবল থাকা দরকার। কারণ এর মধ্য দিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নও চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৪০ লাখ। তবে ১০ বছরের গড় বৃদ্ধি পর্যালোচনায় এখন তা ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে। তবে এ নিয়েও রয়েছে মতভেদ।