নতুন লুকে নগরবাউল জেমস
‘রঙিন বাল্যকাল আর সোনালী কিশোর সময়গুলোর ভালোবাসা গুরু তোমাকে; এই বৃদ্ধ বয়সেও হৃদয়ের ভেতর থেকে জানাই ভালোবাসা।’ দীর্ঘ পাঁচ মাস পর রকস্টার জেমসকে দেখতে পেয়ে এমনই মন্তব্য করেন তার এক ভক্ত। জেমসের নতুন লুক ফেসবুকে প্রকাশের পর যেন আনন্দের জোয়ার বইছে ভক্তদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক শ্মশ্রুমণ্ডিত সাদা-কালো ছবি প্রকাশ করেন নগরবাউল জেমস। এ ছবিতে যেমন মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, তেমনি রহস্যের গন্ধও খুঁজছেন অনেকে! ছবিটি প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন। মন্তব্য তো একের পর এক যোগ হচ্ছেই।
নতুন এই ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাসের নীরবতা ভাঙলেন জেমস। জানা গেছে, রাজধানীর নিজস্ব ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অবস্থান করছেন জেমস। হোম স্টুডিওতে জ্যামিং করছেন। অপেক্ষায় আছেন ফের মঞ্চে ওঠার।
গানের কথায় ভিন্নতা ও কাব্যধর্মী শব্দের আধিক্য জেমসকে সকল কণ্ঠশিল্পীদের থেকে আলাদা করে ফেলে। নব্বইয়ের দশকে একটা বিশেষ তরুণ শ্রেণীর হৃদয় দখল করলেও শূন্য দশকের পর থেকে জেমসের গ্রহণযোগ্যতা সর্বত্র তৈরি হয়। তবে জেমসের মিউজিক জীবন শুরু আশির দশকের একেবারে শুরুতে, চট্টগ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে চট্টগ্রামে চলে যান। কিন্তু বাবা যখন ঢাকা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল হয়ে চলে আসেন। জেমস থেকে যান চট্টগ্রামে। আজিজ বোর্ডিং এর ‘বারো বাই বারো’র একটি ছোট্ট রুমে চলে সংগ্রামী জীবন। সেখানের নাইটক্লাবে বাজাতেন-গান করতেন।
চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া ব্যান্ডদল ‘ফিলিংস’-এর মাধ্যমে তিনি প্রথমে খ্যাতি অর্জন করেন। পরে সেই ব্যান্ড দলের নাম ‘নগরবাউল’ করেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও খুব জনপ্রিয় জেমস। ভারতের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে বলিউডের ‘গ্যাংস্টার’ ছবিতে ‘ভিগি ভিগি’ নামে একটি গান করে সেখানেও বেশ আলোচিত হন। পরে বলিউডের আরো কয়েকটি ছবিতে গান করেন।
আজকের বিশ্বতারকা জেমসের দুঃখ জেমসের সাফল্য বাবা-মা কেউই দেখে যেতে পারেননি। আর তাইতো তার কণ্ঠে ‘বাবা কতদিন দেখি না তোমায়’ কিংবা ‘মা’ গানে এতটা দরদ ঝরে পড়েছে। দেশের সবধরনের শ্রোতাদের এই গান স্পর্শ করে যায় এখনো।