কলারোয়ায় ৫লাখ টাকার দাবীতে সৎ ছেলে ও স্ত্রীর হামলায় কুদ্দুস আলী এখন হাসপাতালে
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৫লাখ টাকার দাবীতে সৎ ছেলে ও দোজবেরী স্ত্রীর হামলায় কুদ্দুস আলী (৩০) নামে এক যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই রাতে তারা কুদ্দুস আলীকে আহত অবস্থায় চিকিৎসা না দিয়ে ঘরের মধ্যে আটক রাখে। পরে খবর পেয়ে এলাকাবাসী শুক্রবার বিকালে আহত অবস্থায় কুদ্দুস আলীকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এঘটনায় শুক্রবার (২১আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামের আব্দুর রহিম (৭০) তার ছেলের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান-তার ছেলে একজন কৃষক সে এলাকায় কৃষি কাজ করে থাকে। গত ২বছর পূর্বে তার ছেলের সাথে স্বামী পরিত্যক্তা জায়েদা খাতুন (৪২) এর সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে গোপনে তারা ৫লাখ টাকা দেন মোহরে বিবাহ করে। পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি। বিবাহের পরে তারা মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া বসত ঘরে বসবাস করে। সাথে থাকে তার এক সৎ ছেলে। কিছু দিন পরে তিনি লোক মুখে জানতে পারেন যে, তার ছেলেকে তারা গরুর মতো করে খাটাচ্ছে। একই সাথে সাররিক নির্যাতনও দিচ্ছে। এরকম ভাবে চলতে থাকা অবস্থায় ২০আগস্ট রাত ১০ টার দিকে স্ত্রী জায়েদা খাতুন আমার ছেলেকে বলে তুমি আমাকে ছেড়ে দাও এবং দেনমোহরের ৫লাখ টাকা দিয়ে আমার বাড়ী থেকে বের হয়ে যাও। কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে সৎ ছেলে আসাদুজ্জামান পিন্টু ও স্ত্রী জায়েদা খাতুন আমার ছেলেকে ধরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে জখম করে। এসময় ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে। এতে আমার ছেলের বাম হাতে লেগে গুরুত্বর জখম হয়। তিনি তার ছেলের নির্যাতনের প্রতিকার ছেয়ে কলারোয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।