আশাশুনির প্রতাপনগর-শ্রীউলার ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবী নাগরিক কমিটির
ভয়ংকর অবস্থা বিরাজ করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের আম্পান দুর্গত এলাকায়। পূর্ব থেকে ভাঙা বাঁধ এবং আমাবশ্যার জোয়ারের পানির প্রবল চাপে বিভিন্নস্থানে নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট মাছের ঘের ফসলের জমি সব একাকার।
জোয়ারের সময় ১২/১৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথায় এক ইি জমি জেগে নেই। রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া সবকিছুই প্রায় বন্ধ। মানুষের বেঁচে থাকাটা এখন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। উক্ত দুই ইউনিয়ন ছাড়াও জেলার আশাশুনি শ্যামনগর উপজেলাসহ বিভিন্নস্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া ভাদ্র মাসের বৃষ্টিপাতে সাতক্ষীরা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধ এলাকাগুলো নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বহু মানুষের আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো চিংড়ি ঘেরের বাঁধ দিয়ে বন্ধ করাসহ অন্যান্য বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকায় সহসা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্তায় সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি জেলার মানুষের যান-মালের নিরাপত্তায় জরুরিভাবে
১. আশাশুনির প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ শ্যামনগর ও আশাশুনির উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া
২.পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে রান্না করা খাবার বিতরণ করা
৩. ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা
৪. নতুন করে আর কোন বেড়িবাঁধ যাতে না ভাঙে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
৫. সাতক্ষীরা শহরসহ জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা দ্রুত অপসারণের দাবী জানাচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার সাতক্ষীরা শহরতলীর বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছে। নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, অপারেশ পাল, এড. মনির উদ্দিন, এড. আল মাহামুদ পলাশ, জহুরুল কবির, আসাদুজ্জামান সরদার, এড. রফিকুল ইসলাম ও এড. আবুল কালাম আজাদ।