আশাশুনি ও প্রতাপনগরে নতুন করে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত
আশাশুনি সদর ও প্রতাপনগর ইউনিয়নে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রতিরক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অপরেিক শ্রীউলা ইউনিয়নে নদীর পানির তোড়ে নতুন এলাকা প্লাবন শুরু হয়েছে। ৩ মাস পরে পুুরনো প্লাবিত এলাকাকে ছাড়িয়ে নতুন এলাকায় পানি ঢুকে শত শত নতুন ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘের প্লাবিত করে পানি ছুটে চলেছে।
উপজেলার আশাশুনি, শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ি গত ২০ মে আম্ফানের তান্ডবে ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়। সেই থেকে এলাকার মানুষ পানিতে নাকানি চুপানি খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আাসছে। বাঁধ সংস্কারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে আসলেও গত ঈদ উল আযহার পূর্বে তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ বাঁধ রক্ষার্থে আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছেন। অনেক এলাকা রিং বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা হয়। ভেঙ্গে যাওয়া মূল বাঁধেও ইতিমধ্যে কাজ করা হয়েছে। এতে এই ৩ ইউনিয়নের কিছু অংশের মানুষ প্রাথমিক ভাবে রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনে নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া এবং মুষুল ধারা বৃষ্টিপাতের ফলে প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর, কুড়িকাহনিয়া, হরিশখালি, চাকলা এলাকায় প্রচুর পানি ঢুকে রিং বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন করে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। যার ফলে প্রতাপনগর ইউনাইটেড স্কুলের পেছনের কার্লভাটটির পাশের কার্পেটিং সড়ক ভেঙ্গে এলাকায় দুর্বার গতিতে পানি প্রবেশ করছে। হলদেপোতা-তেঁতুলিয়া-প্রতাপনগর মেইন সড়কের প্রতাপনগর অংশের উপর দিয়ে পানি অপর পাশে ঢোকায় সড়ক যোগাযোগ হুমকীতে পড়েছে। এতে নতুন করে বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করে মানুষকে নাকানি চুপানি খাওয়াচ্ছে।
এদিকে আশাশুনি সদরের জেলেখালী-দয়ারঘাট গ্রামের পাউবো’র ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে ২০ মে এলাকায় পানি প্রবেশ করে একাকার করে দিয়েছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে রিং বাধ দিয়ে বিশাল এলাকাকে রক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে দয়ারঘাট হ্যাচারি ও স্কুলের সামনে রিংবাধ ভেঙ্গে এবং আরো কয়েকটি স্থানের বাধ ভেঙ্গে প্রচুর গতিতে নদীর পানি ভিতরে ঢুকছে। ফলে আশাশুনি দক্ষিণ পাড়া, দয়ারঘাট ও জেলেখালী গ্রামে নতুন করে পানি ঢুকেছে। রাতের গণে আরও ব্যাপক এলাকায় পানি প্রবেশ করে এলাকাকে নাস্তানাবুদ করে দিতে পারে বলে আশংখা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শ্রীউলা ইউনিয়নের ২০ মে’র পর থেকে বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীও এলাকা ত্যাগ করেছেন। তারা শীত মৌসুমে বাঁধ নির্মানের জন্য আবার ফিরবেন বলে জানাগেছ। গত ২ দিনের নদীর পানির চাপ এতটা বেড়েছে যে, আগের তুলনায় বেশী গতিতে পানি ভিতরে ঢুকে ইতিমধ্যে মহিষকুড়, নাকতাড়া, বকচর ও বুড়াখারাটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। রাতের জোয়ারে শ্রীউলা গ্রামে পানি প্রবেশের সম্ভাবনা বিরাজ করছে। ফলে ৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।