আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক রাডার কিনবে সরকার

দেশের আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ বিমান চলাচল নিশ্চিত করতে স্যাটেলাইট নির্ভর অত্যাধুনিক রাডার কিনতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাই উন্নত হবে না, রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

এ বিষয়ে দুই-এক মাসের মধ্যে ফ্রান্সের থ্যালাস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুরো আকাশ সীমায় ক্যাপাবিলিটি (সক্ষমতা) বাড়ানো হচ্ছে। এতে উড়োজাহাজ দেখা এবং এর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন রাডার স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বিমান ও উড্ডয়নের জন্য খুবই জরুরি।

জানা গেছে, প্রায় ৩৬ বছরের পুরানো রাডার ও পুরনো এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে চলছে আকাশপথে যোগাযোগ। ঢাকার রাডারটির যোগাযোগ সক্ষমতা সর্বোচ্চ ২০০ নটিক্যাল মাইল, আর উড়োজাহাজ দেখতে পারে মাত্র ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। চট্টগ্রামের রাডারটির কার্যক্ষমতা ২৪০ নটিক্যাল মাইল।

আর এই সীমার বাইরে কোনো উড়োজাহাজ প্রবেশ করলে সেটি রাডারে ধরা পড়ে না। বাংলাদেশের সক্ষমতা না থাকায় বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার। এই রুটে যেসব উড়োজাহাজ চলাচল করে সেগুলোর রাজস্বও পায় দেশ দুটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এ রাডার স্থাপন করলে দেশের যেকোনো প্রান্তে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাডারের মধ্যে সমন্বয় করবে। এতে শুধু রাজস্ব আয়ই বাড়বে না, উন্নত হবে এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজেমেন্ট সিস্টেমও। ফলে বিরূপ আবহাওয়ায় নিরাপদে বিমান অবতরণে সহায়ক হবে।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমাদের কয়েকশ’ কোটি টাকা লস হয়। নতুন রাডারটা লাগানো ফলে আমাদের সাউথ সাইটে যে রেভিনিউ লস হত, সেটা আর হবে না। সেই সঙ্গে আবহাওয়া খারাপ হলেও এই রাডারের কারণে বিমান অবতরণ করানো যাবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)