অবশেষে এএসআইকে চড় মারা সেই ওসি প্রত্যাহার
অবশেষে বরগুনার বামনা থানার ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার সিনহার সহযোগী সিফাতের মুক্তির দাবিতে বামনায় আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিপেটা ও ওসির হাতে পুলিশের এক এএসআইকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে বরগুনা জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, লাঠিপেটা ও চড় মারার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা রোববার (৯ আগস্ট) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেফতার ও কারাবন্দী হন শাহেদুল ইসলাম সিফাত। তিনি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলম এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের ছাত্র। তার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বরগুনার বামনায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করে তার সহপাঠীরা। মানববন্ধনে হঠাৎ পুলিশ এসে ব্যানার ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়। এরপর লাঠিচার্জ শুরু করলে মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলেন। হঠাৎ সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির হন বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী। পুলিশ প্রথমেই মানববন্ধনের ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে নেয়। এরপরও সিফাতের বন্ধুরা মানববন্ধন চালিয়ে গেলে ওসি দৌড়ে এসে নিজেই লাঠিপেটা শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন।
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী ছাত্রদের দুষ্কৃতিকারী উল্লেখ করা এবং এক এএসআইকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদারকে শুধু প্রত্যাহার করলেই তার অপরাধের শাস্তি হয়ে গেল কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বরগুনা জেলা এসপি জনাব মারুফ মোল্লা জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।