সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর ‘ডাকাত’ বলে প্রচার করেছিল এরা
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরা হত্যাকাণ্ডের পর সিনহা রাশেদ খানকে ডাকাত বলে প্রচার করেছিলো।
মঙ্গলবার দুপুরে বাহারছড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো, নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
গ্রেফতাররা সিনহা রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষী।
গ্রেফতারের পর তাদের কক্সবাজার আদালতে নেয়া হচ্ছে। আদালতে তোলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১০ দিন রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এদিকে, নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছের সঙ্গে টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে র্যাব।
গত ৩ জুলাই ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের কাজে কক্সবাজার যান সিনহা রাশেদ। এরপর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। তখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মামলা করেছিলো পুলিশ।
পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরদিন ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।