আশাশুনিতে দু’ নারীর বাড়িতে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রসহ গ্রামবাসিদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তিন আসামীর জামিন না মঞ্জুর
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের দু’ নারীর বাড়িতে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রসহ গ্রামবাসিদের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের মামলায় ১৭ আসামীর মধ্যে ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর ও তিন জনের জামিন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৮ এ তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার উভয়পক্ষের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন, উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের শাহজাহান সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ, একই গ্রামের আনছারের ছেলে মোস্তফা ও ছাদেক সরদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঘরের চালে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে গত শুক্রবার ভোরে তেতুলিয়া হামিইউছুনুর কওমি মাদ্রাসার ছাত্র নজরুল ওরফে নাজিমকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে আটক রেখে তার শরীরে আলকাতরা মাখিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে কোহিনুর বেগম ও তার মেয়ে রোজিনার বাড়িতে হামলা চালায় উক্ত মাদ্রাসার ছাত্রসহ কয়েক’ শ এলাকাবাসী। এ সময় তারা তাদের বাড়ি, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পোল্ট্রি ফার্মে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ হামলায় তাদের ছয়জনসহ মোট ১০ জন আহত হন। লুটপাট করা হয় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল। পরে আশাশুনি থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ হাসাপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তেতুলিয়া গ্রামের আবু হাসানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদি হয়ে ১৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২২ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত উক্ত ১৪ জনকে জামিন দিয়েছে আদালত। এছাড়া জামিন না’মঞ্জুর হওয়া তিন আসামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।