পদ্মশাঁখরায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
ধান খেতে শেওলা ফেলার মিথ্যা অভিযোগে অমল দাস নামের এক ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিবেশীরা।
গত ৩ আগষ্ট সদরের পদ্মশাঁখরা সীমান্তের কুমড়ার খালের চরে এ ঘটনা ঘটার ৬ দিনেও মামলা হয়নি। এদিকে ভোমরার অমল দাস ও শহরতলীর বাঁকাল খেয়াঘাট জেলেপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় শনিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানকে অমল দাসের উপর হামলার ঘটনা মামলা নেওয়া ও বাকাল জেলেপাড়ায় হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। শনিবার সকালে ভোমরা দাসপাড়ায় গেলে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক অমল দাস বলেন, শ্যামল দাস তার জমিতে আগে ধান রোপনের কাজ শেষ করে আইল বরাবর নেট দেন।
৩ আগষ্ট তিনি জমিতে ধান লাগাতে গেলে নেট সরিয়ে তার জমিতে শেওলা ফেলে দেওয়ার অভিযোগে কাকা শ্যামল দাস তার উপর চড়াও হন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্যামল দাস তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন।
এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে তার স্ত্রী রত্না দাস তাকে উদ্ধার করেত এলে শ্যামল দাসের ভাই সোনা দাস, কমল দাস ও বিমল দাস তাকে ও স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল বলেন, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নির্যাতিত অমল দাসের মামলা নেওয়ার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। জানতে চাইলে শ্যামল দাস বলেন, রাগের বশতঃ একটি ভুল হয়ে গেছে। স্থানীয়পর্যায়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রত্না দাসের এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।