সাতক্ষীরাসহ দক্ষিনবঙ্গের কাঁকড়া রপ্তানী বন্ধ থাকায় তীব্র ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন চীনসহ বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে কাঁকড়া রপ্তানী বন্ধ থাকায় তীব্র ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরাসহ দক্ষিনবঙ্গের অর্থাৎ বৃহত্তর খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলা উপজেলার কয়েক লক্ষ কাঁকড়া চাষী, ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীরা। পাশাপাশি কর্মবঞ্চিত হয়ে পড়েছেন কাঁকড়া চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানী কাজে নিয়োজিত আরো কয়েক লক্ষ কর্মীরা।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানী হয়ে থাকে, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ রপ্তানী করা হয় সাতক্ষীরা থেকে। বাকিগুলো সরবরাহ হয়ে থাকে বৃহত্তর খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে। কাঁকড়া শিল্পে নিয়োজিত খামারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের অধিকাংশরাই ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কিন্তু এবছর মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে বিদেশে রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রীতিমতো ধ্বস নেমেছে কাঁকড়া শিল্পে। একদিকে কাঁকড়া রপ্তানী বন্ধ এবং ব্যাংক ঋনের চাপ আর অন্যদিকে করোনা মহামারী এই দুইয়ের কষাঘাতে পিষ্ট হয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কাঁকড়া শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট লক্ষ লক্ষ পরিবার। তাই পূর্বের ন্যায় অবিলম্বে চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে কাঁকড়া রপ্তানী কার্যক্রম শুরু করার দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
আজ রোববার বেলা ১১ টায় দেবহাটার লাইট হাউজে সাতক্ষীরা জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবী জানানো হয়।
সাতক্ষীরাসহ বৃহত্তর খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দদের পাশাপাশি প্রায় শতাধিক কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী আলোচনা সভাটিতে অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের সহ-সভাপতি শেখ আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কাঁকড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য দেব কুমার, পরিতোষ বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।