সাতক্ষীরার বাঁকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী
সাতক্ষীরার বাঁকাল জেলেপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ পাঁচ আসামীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি প্রাণনাথ দাসের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব রণজিৎ ঘোষ, জেলা যুব মহাজোটের সভাপতি সন্দীপ বর্মণ, যুব ঐক্য পরিষদের সদস্য মিলন রায়, মিঠুন ব্যাণার্জী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই শহরের দক্ষিণ কাটিয়ার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে মুজিবর পেশকার বাঁকাল জেলেপাড়ার পুলিন মাখালের কাছ থেকে ১৫ শতক জমি পাঁচ লাখ টাকায় মৌখিক ভাবে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। এই জমি দখল নেয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে যুবলীগ নেতা মান্নানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী নিরঞ্জন মাখাল ও পূর্ণিমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে বাধা দেওয়ায় নিরঞ্জন মাখাল, তার স্ত্রী অহল্যা, সহদেব মাখাল ও বলরাম মাখালকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এঘটনায় স্থানীয়রা ওই রাতেই সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে ঝাঁটা মিছিল করলে পুলিশ মুজিবর ও তার ছেলে শুভকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর অদৃশ্য কারনে ওই রাতেই তাদের আবার ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টায় বিষয়টি নিয়ে থানায় বসাবসির কথা থাকলেও বেলা ১২ টা পর্যন্ত হামলাকারি পক্ষ থানায় আসেননি। এক পর্যায়ে নিরঞ্জন মাখাল বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নানসহ পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা অরো ১৬জনকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার জমা দিলে পুলিশ গত পহেলা আগষ্ট মামলাটি রেকর্ড করেন। তারা আরো বলেন, এ ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। এর ফলে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদি ও সাক্ষীদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। বক্তারা এ সময় এ মামলার অন্যতম আসামী জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ ৫ আসামীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী জানান।