শিমুলিয়ায় আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের নির্দেশ
শিমুলিয়ায় আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য বিআইডব্লিউটিএ-কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে, কোরবানি দিয়েছে। মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের কমতি দেখিনি। মানুষ সবকিছুর মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে। করোনা ও বন্যা মোকাবিলা করে আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি তার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনীতির চালিকা শক্তি ধরে রাখতে পেরেছি। ঈদের পর আজ প্রথম দিন থেকেই সচিবালয়ের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অর্থনীতির চলমান প্রবাহ ধরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মার তীব্র স্রোত ও ভাঙনের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটের ৩ নম্বর ঘাটটি ভেঙে যাওয়ায় ৩১ জুলাই রাত থেকে কিছু সময়ের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো।
তিনি বলেন, ঈদের দিন বিকেলে আমি শিমুলিয়া ঘাট এলাকা পরিদর্শন করি। সেদিন বিকেল থেকে পণ্যবাহী যান নিয়ে ফেরি চলাচলের নির্দেশ দেই। পরবর্তীতে যাত্রীবাহী বাসও ফেরিতে চলাচল করছে। তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মোটরসাইকেলের চাপ অনেক বেশি। শিমুলিয়ায় অন্য তিনটি ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি দুই লেনের। রাস্তাটি সরু থাকায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের ফলে ঈদের আগে সেখানে ভিড় হয়োছিলো। শিমুলিয়া থেকে দু’টি রো রো ফেরি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে আনার ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি রুটে জট তৈরি হয়নি। ফেরি স্বল্পতা বা স্রোতের জন্য তেমন জট সৃষ্টি হচ্ছে না। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ফেরি দ্রুত চলাচল করতে পারলে রাস্তার চাপ বা জট অনেকটা কমে যাবে।