জেলার শ্যামনগর উপকূলে নেই কোন ঈদের আনন্দ
আম্পানে ঘরের চাল উড়িয়ে নেয়ার পর আর ঘর আর ঠিক করা হয়নি। এরই মাধ্যে বাঁধ ভেঙে পড়েছে। উঠানেওর প্রবেশ করেছে পানি। উপায় নেই, তাই ঠায় হলো কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদরাসায়। এখানেই থাকা হচ্ছে, আর কোথাও যায়নি। বলছিলেন গাজী ইয়াকুব।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় গাজী ইয়াকুবের মতো আরো অনেকেই আছেন যাদের ঘরে ঈদুল আজহার আনন্দ নেই। বিবর্ণ এক ঈদুল আজহা যাচ্ছে তাদের। কারণ তাদের উপার্জনের একমাত্র ভরসা সুন্দরবন। জুলাই থেকে এই যাওয়া নিষেধ থাকায় উপার্জনের শেষ ভরসাটুকুও নেই।
ইয়াকুবের পাশে থাকা আবুল হাসান বলেন, আম্ফানের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। করোনার কারণে ঘরে বসে আছি কয়েকমাস ধরে। আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরা। এখন আর তাও হচ্ছে না। কারণ জুলাই মাস থেকে বনে যাওয়া নিষেধ। ঠিক সেই মুহূর্তে এলো কোরবানি। এসব নিয়ে সামলে উঠতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের মুখেও ঈদের হাসি নেই।
কুড়িকাহুনিয়া এলাকার মঞ্জিলা খাতুন বলেন, স্বামীর একমাত্র উপার্জন হলো সুন্দরবন থেকে কাকড়া আর মাছ ধরা। কিন্তু এখন কিছুই নেই। জুলাই থেকে আগস্ট মাস সুন্দরবনে যাওয়া নিষেধ। তার ওপর বন্যা, একেবারের বসে থাকা ছাড়া উপায় নাই। সংসারে ১৩ জন। সবাইকে নিয়ে খুব কষ্টে রয়েছি। এ অবস্থায় কীভাবে ঈদের কথা ভাবতে পারি?’
শ্যামনগরের ইউএনও আনম আবুজর গিফারী বলেন, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে মাংস বিতরণ করা হবে। এবার বিশেষভাবে ১৮টি বিভিন্ন সংগঠন এই উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ৭৯ হাজার ৯৭টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।