ঈদের আগের দিন সড়কে ঝরলো ১২ প্রাণ
ঈদের আগের দিন সারাদেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মোট ১২ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনাগুলো ঘটে- ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তাজপুর, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল, শেরপুরের নকলায়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৭টায় তাজপুরের বড়াইয়া চাঁনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের স্বপন কুমার দাস ও তার স্ত্রী লাভলী রানী দাস, তাদের ৮ বছর বয়সী জমজ সন্তান সাজ ও সাজন এবং প্রাইভেটকার চালক। এছাড়া তাদের আরেক সন্তান সৌরভকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ ও গাইবান্ধায় দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ড ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিনজন এবং হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের নুনদহ ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
নিহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের সাহেদ মিয়া, কাজল মিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার শাকিল ইসলাম। হতাহতরা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী-আব্দানারায়ন কালিবাড়ির দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেল মিয়ার স্ত্রী শাহিদা খাতুন এবং ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা খাতুন। তবে নিহত প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
শেরপুরের নকলায় কাভার্ড চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাভার্ড চালক ও তার সহকারী আহত হয়ে নকলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার কুর্শাবাগৈড় এলাকায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাজিব মিয়া নকলা পৌরসভার কুর্শাবাগৈড় এলাকার চা বিক্রেতা নেকবর আলীর ছেলে ও ঢাকায় চাকরি করতেন। কাভার্ডের চালক নরসিংদীর রামনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে কাউসার ও সহকারী ভৈরবের কমলাপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে নিলয়।