সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের বঙ্গোপসাগরে জেলেরা : ইলিশের ছড়াছড়ি

ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের বঙ্গোপসাগরে নেমেছে জেলেরা। নৌকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে হাসিমুখে তীরে ফিরছে তারা। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে কক্সবাজারের আড়তগুলোতে। শহরের নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন ইলিশে সয়লাব। জেলে ও ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখর চারপাশ।

কক্সবাজারে মাছ ধরার ছোট-বড় নৌকা রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি। নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। জেলেরা জানায়, দুইমাসের বেশি তারা বেকার ছিল। ভরা মৌসুমে অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছিল। কিন্তু ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় কেটেছে দুশ্চিন্তা, মুখে ফিরেছে তৃপ্তির হাসি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। ফুরসত নেই মৎস্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। সাগর থেকে একের পর এক আসছে ইলিশ ভর্তি নৌকা। সেখান থেকে ইলিশ নেয়া হচ্ছে আড়তে। আড়তদাররা খোলা ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করছে ইলিশ। এরপর পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে জেটিঘাটে ফিরছে জেলেরা

রফিক উদ্দিন নামে এক জেলে বলেন, ২০ বছরে এত ইলিশ দেখিনি। মধ্যরাতে সাগর উন্মুক্ত হওয়ার পর এক সপ্তাহের রসদ নিয়ে মাছ ধরতে যাই।  কিন্তু প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় সকালেই জেটিঘাটে ফিরে আসি। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর এত ইলিশ ধরা পড়বে ভাবিনি।

মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এখন সাগরে প্রচুর ইলিশ রয়েছে। আশা করছি এতে বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় দামও কম।

নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে দুই শতাধিক নৌকা সাগরে নামে। সকালে ৫০টির বেশি নৌকা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরে আসে। ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও রয়েছে।

তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত সময় পাওয়ায় ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের প্রজনন বেড়েছে। এবার ইলিশ আহরণ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আসবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)