মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
তিনি কিংবদন্তি। তিনি মহানায়ক বলেই পরিচিত। মৃত্যুর পরেও তিনি ভক্তদের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে নিজের আসনটি দখল করে বসে আছেন। তিনি উত্তম কুমার। বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক।
২৪ জুলাই ১৯৮০ সালের পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার পাড়ি জমান উত্তম কুমার। সংসারে অভাবের কারণে প্রথম জীবনে পড়াশোনা শেষ না করেই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের কাজে যোগ দিতে হয়েছিল তাকে। তখনই আহিরীটোলায় নিজেদের থিয়েটার গ্রুপ ‘সুহৃদ সমাজ’-এ নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন।
থিয়েটারে কাজের সময় চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু ‘ফ্লপ মাস্টার’র তকমা জুটে কপালে। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একের পর এক সিনেমা করলেও সবই ফ্লপ হয়। ১৯৫৩-তে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ছবির মাধ্যমে তুমুল সাড়া ফেলেন তিনি।
উত্তম কুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ ছবি করার কথা ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘নায়ক’ উত্তমের ক্যারিয়ারের ১১০তম ছবি। এই ছবিটি আজো সিনেমাপ্রেমীদের মনে এক অন্যরকম আলোড়ন তৈরি করে। সত্যজিৎ রায়ের দারুণ গল্প বলার ঢং দর্শকদের আজও মুগ্ধ করে।
অন্যদিকে ‘নায়ক’-এ উত্তম কুমারের ক্যারিয়ারে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ‘নায়ক’ দেখার পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। উত্তমের সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছিলেন তিনি। এলিজাবেথ আসলে মুগ্ধ হয়েছিলেন উত্তম কুমারের অভিনয়ে।
জানেন কি? অভিনয়ের পাশাপাশি পরবর্তীতে প্রযোজক, পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন উত্তম কুমার।‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’য় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার মুখ তৈরি করিয়েছিলেন উত্তম।