কুমড়োর বীজ খাওয়ার উপকারিতা
এমন অনেক খাবার আছে যা আমরা অবহেলায় ফেলে দেই কিন্তু সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। নাস্তায় তেলে ভাজা কিংবা স্ন্যাকস জাতীয় খাবারের বদলে রাখতে পারেন কুমড়ো বীজ। ভাজাভুজি জাতীয় খাবারে পুষ্টি তেমন মেলে না বললেই চলে। কিন্তু কুমড়ো বীজ প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশ করেছে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কুমড়ো বীজ রাখা কেন জরুরি-
কুমড়ো বীজ ওমেগা থ্রিতে ভরপুর। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করে ওমেগা থ্রি। ওমেগা থ্রি স্থূলতা কমায়। এটি হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারী এবং শরীরের কোষের গঠনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন কুমড়ো বীজ।
১০০ গ্রাম কুমড়ো বীজ থেকে ৫৫০-৬০০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। শর্করার বিকল্প হিসেবে কুমড়ো বীজের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিনের শর্করার ৭০ শতাংশই কুমড়োর বীজ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব।
আমাদের শরীরে দুই ধরণের কোলেস্টেরল থাকে। ভালো (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) ও খারাপ (নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন)। কুমড়ো বীজে যে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। কুমড়ো বীজের ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পিউফা এবং লাইপোফিলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান থাকে কুমড়ো বীজে। শরীরের ফ্রি রেডিক্যালস বর্জ্য পদার্থ অপসারণের জন্য এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এখন থেকে কুমড়ো রান্নার পরে এর বীজগুলো ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করুন। বাজারে আলাদাভাবেও কিনতে পাওয়া কুমড়ো বীজ। প্রতিদিন পরিমাণমতো কুমড়ো বীজ রাখুন খাবারের তালিকায়। এটি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।