কলারোয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদারের পিটুনিতে মৃত্যু: আটক দুই

সাতক্ষীরা কলারোয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার পরিষদের দুই চৌকিদার কর্তৃক গোলাম কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তিনি সেখানে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে।

নিহত গোলাম কুদ্দুস (৪৮) কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের মৃত জোহর আলীর ছেলে।

নিহতের একমাত্র কন্যা মনোয়ারা খাতুন জানান, হিজলদী এলাকায় মৌসুমি নামের এক গৃহবধু তার দেবর মনি ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিল। সম্প্রতি তার পিতা কুদ্দুসের মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ায় তার পিতা ওই মহিলাকে পাপ কাজ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় ওই মহিলা বিরক্ত হয়ে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান মনিরুলের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই শুক্রবার চৌকিদার দিলিপ ও অশোক তাদের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা কুদ্দুসকে বেধড়ক মারপিট করেন। তার পিতাকে চিকিৎসা সেবা দিতেও বাধা দেন এই চেয়ারম্যান। এক পর্যায়ে তারা তার পিতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গয়ড়া বাজারের একটি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এর পর মঙ্গলবার সকালে তার পিতার অবস্থার অবনতি হলে তারা তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পিতাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, এঘটনায় তার মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে গৃহবধূ মৌসুমি খাতুন ও তার দেবর মনিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে। নিহতের লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)