ইলিশ ধরতে সব ধরনের ফাঁস জাল নিষিদ্ধ করলো সরকার

ইলিশ আহরণে যে কোনো ধরনের ফাঁস জাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। স্থানীয়ভাবে ১৩ নামের ফাঁস জাল নিষিদ্ধ করে বুধবার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইলিশ আহরণের জন্য ৬.৫ সেন্টিমিটার (২.৬ ইঞ্চি) অপেক্ষা ছোট ফাঁস বিশিষ্ট সকল ফাঁস জালের (সেগুলো যে নামেই অভিহত  হোক না কেন) ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

গেজেটে জিরো সুতার জাল, দুই সুতার জাল, তিন সুতার জাল, নাইলন জাল, সুতার জাল, ভাসমান জাল, পকেট/পোকা জাল, চান্দি/ছান্দি জাল, কোনা জাল, গুলতি/খোটা জাল, সাইন জাল ছাড়াও এসব জালের মতো ইলিশ আহরণের যে কোনো নামের জাল নিষিদ্ধ করা হয়।

দ্য প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস অ্যাক্ট, ১৯৫০ এর আওতায় এ গেজেট জারি করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, সারাবিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের প্রায় ৮০ শতাংশ আহরিত হয় এদেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। বিগত দশ বছরে ইলিশ উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৬ লাখ মানুষ ইলিশ-আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লাখ মানুষ ইলিশ পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ-উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে, যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে এর অবদান শতকরা ১ শতাংশ।

দেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদফতর দেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন দিয়েছে। ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে সবার শীর্ষে। পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক ইলিশ উৎপাদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)