প্রাথমিকে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য ২৬ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতে পারে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগস্টে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ হাজারের মতো শিক্ষক সংকট রয়েছে। ঘাটতি পূরণ করতে সরকার নতুন নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগ দেবে। সে ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনাও করেছি। শিগগিরই নতুন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নিয়োগ পরীক্ষায়, ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ধরা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, আমাদের জানা মতে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন কেউ-না-কেউ অবসরে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণ করতে হলে বড় নিয়োগ দিতে হবে।
প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের দায়িত্ব চূড়ান্ত করা হলে সহকারী শিক্ষকদের আরো পদ শূন্য হবে বলেও জানান তিনি। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ১৮ হাজার শিক্ষক।
আওয়ামী লীগের সরকার তিনদফা ক্ষমতায় থেকে এখন পর্যন্ত প্রাথমিকে প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তবে এরপরও প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।
মো. ফসিউল্লাহ্ বলেন, এক বছরের মধ্যে প্রত্যেকটি শূন্য পদে নতুন শিক্ষক দেয়া হবে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের জন্যও নতুন শিক্ষক দেয়া হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। নিয়োগ দেয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে।
সূত্র:ডেইলি বাংলাদেশ।