এইচএসসি পরীক্ষা-২০২০ নিয়ে কিছু কথা
বর্তমান করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী আলোচিত বিষয় হলো এবারের এইচএসসি পরীক্ষা কবে, কখন, কিভাবে গ্রহন করা হবে! শিক্ষা মন্ত্রী অবশ্য কিছুদিন আগে বলেছেন সময় ও বিষয় কম করে পরীক্ষা গ্রহন করা যায় কিনা তা চিন্তা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় বিষয় টি নিয়ে এখুনি ভাবা দরকার। লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। আমি ও একজন অভিভাবক আমার ছেলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, হতাশা আমার মধ্যেও কাজ করছে। আমার মতো অনেক অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী এখন চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। চারিদিকের দুসংবাদ, মানুষের মধ্যে আতংক শিক্ষার্থীদেরকে বিচলিত করে তুলছে। কবে কখন এই মহামারী বিদায় নেবে তা কেউ বলতে পারছেনা। প্রদিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংবাদ মানসিকভাবে সবাইকে বিপর্যস্থ করে তুলছে। তাই শিক্ষার্থীরা মনোজগতে সারাক্ষণ নেতিবাচক ভাবনায় আজ দিশেহারা। আমি জানি এ সংকট থেকে সহসা মুক্তি পাবার কোন পথ নেই। একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আমি আমার সন্তানের পাশে সারাক্ষণ বিচরন করি। তাকে মানসিক ভাবে শক্ত রাখতে চেষ্টা করি। আমার ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও দেখা হলে বা ফোনের মাধ্যমে সে কথা বলি। কিন্ত তা কতক্ষন?
এমন বাস্তবতায় আমি মনে করি বর্তমান সময়ের বাস্তবতা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে শিক্ষাম›ন্ত্রী মহোদয় সংকট সমাধানের জন্য দেশের শিক্ষাবিদ, সকল শিক্ষক সংগঠনের নেতা, অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে পারেন। কথায় বলে সময় ও নদীর ¯্রােত কারো জন্য অপেক্ষা করেন। যা ভাববার তা এখনই ভাবতে হবে। এমনিতেই অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। এতাদিন পরীক্ষা শেষে সবাই উচ্চতর শিক্ষার ঘাটে ঘাটে নিজেকে ভিড়িয়ে থাকতো মানসিক ভাবে ফুরফুরে। আমি এটাও মনে করি তাদের কথা ভেবে সরকারি ভাবে যদি এখনই বলা যেত যে, তোমাদের এবারের পরীক্ষা গ্রহন করা হবেনা। তোমাদের এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বহাল করে দেওয়া হলো-তোমরা পরবর্তী প্রস্ততি গ্রহন করো। তাহলে তারা পরীক্ষার চিন্তা বাদ দিয়ে বিশ^বিদ্যারয়ে ভর্তির প্রস্ততি নিতে পারতো, অপর দিকে চরম হতাশা থেকে মুক্তি পেত। বেঁচে যেত সময়,অর্থ খরচ, শিক্ষার্থীদের সেশন জট। অবশ্য অনেকেই এমন প্রস্তাবে দ্বিমত পোষন করতে পারেন। যারা তেমনটি ভাবেন তাদের কে সবিনয়ে অনুরোধ করছি বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করুন। এমন সংকট কালে শিক্ষার্থীদের পাশে আসুন।