আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জন প্রতিনিধি, কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা সর্ব সাধারণকে জীবন হাতে নিয়ে এ পরিষদ ভবনে কাজ পরিচালনা ও গমন করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে তাদের বিভিন্ন পরিচয়পত্র, ওয়ারেশ কায়েম সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ট্যাক্স আদায়সহ প্রয়োজনীয় কাজ ও কাগজপত্র নিতে এখানে যাতয়াত করতে হয়। পারিবারিক, সামাজিক ও সকল দ্বন্দ্ব ফাসাদ, মারামাটি-কাটাকাটি মিমাংসা ও বিচার পেতে এ পরিষদে গ্রাম আদালতে ছুটতে হয়। এছাড়া সকল প্রকার সরকারি সহায়তা, ভাতা ইত্যাদির জন্য এখানে মানুষের নিত্য আগমন ঘটে থাকে। ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিয়েও নিয়মিত যাতয়াত ও মতবিনিময় এ পরিষদেই হয়ে থাকে। এক কথায় ইউনিয়নবাসীর সকল কাজে প্রথম প্রয়োজন হয় ইউনিয়ন পরিষদের সাথে। স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, প্রাণি সম্পদসহ সকল সেক্টরের কার্যক্রমের সাথেও ইউনিয়ন পরিষদ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে ইউনিয়নের উন্নয়ন, ইউনিয়নবাসীর প্রয়োজনের জন্য বলিষ্ট করে গড়ে তুলতে বহু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনকে আধুনিক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে সুবিশাল কমপ্লেক্স ভবনে রূপান্তরিত করেছে সরকার। প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদটি প্রথম সময়ের কমপ্লেক্স হিসাবে নির্মীত হয়েছিল। দীর্ঘ দিনের কমপ্লেক্স ভবনের মেঝে, দেওয়াল, পিলার, ছাদ, কার্ণিশ সবকিছু বর্তমানে খুবই জীর্ণশীর্ণ ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়া, ছাদ, দেওয়াল, পিলার, কার্ণিশ খসে পড়ায় ভবনটি যেমন ব্যবহার অনুপযোগি হচ্ছে, তেমনি চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অনেকে খসে পড়া অংশের আঘাতে আহতও হয়েছেন। ভবনে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মালামাল বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কাঠ দিয়ে তৈরি দরজা-জানালা, আসবাবপত্রের অবস্থাও ভাল নয়। সবমিলে ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগি হতে চলেছে। এব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন ও ভবন সংস্কারে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, সদস্যমন্ডলীসহ এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।