দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস পর শুরু হয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস পর শনিবার বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ থেকে মহামারি করোনার সংক্রমন ঠেকাতে ভারত ও বাংলাদেশ লকডাউনের কবলে পড়ে এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ আরাফাত হোসেন জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারনে উভয় দেশের লকডাউন ঘোষণা করায় গত ২৪ মার্চ থেকে এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত পহেলা জুন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনসহ কাস্টমস্ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনান্তে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গত ২ জুন থেকে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। এ মর্মে ভারতীয় ঘোজা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের কার্যক্রম চালুর জন্য লিখিত ভাবে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু সে দেশের (ভারতীয়দের) কিছু আভ্যন্তরীন জটিলতার কারনে এত দিন আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে তাদের জটিলতা নিরসন শেষে দীর্ঘ ২ মাস ২৬ দিন পর শনিবার বিকালে ঘোজা জিরো পয়েন্ট থেকে আমাদানী-রপ্তানী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, সে দেশের বসিরহাট এম.এল.এ দীপবিন্দু বিশ^াসসহ সরকারী কর্মকর্তারা। এ সময় ভোমরা স্থলবন্দর সীমান্ত জিরো পয়েন্টে উপস্থিত থেকে তাদেরকে স্বগত জানান, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের কর্মকর্তারা। তিনি আরো জানান, শুরুতেই সীমিত পরিসরে বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ভোমরা বন্দরে আবারও ফিরে এসছে কর্মচাঞ্চল্য। বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারীসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তির নিশ্বাস।
ভোমরা স্থল বন্দর শুল্ক ষ্টেশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।