আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের বেহাল দশায় জন দুর্ভোগ চরমে
আশাশুনি টু সাতক্ষীরা এবং আশাশুনি টু কোলা ঘোলা সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বড় বড় খাদের সৃষ্টি ও খোয়া উঠে ছড়িয়ে থাকায় সড়কটিতে চলাচাল খুবই বিপদজনক হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে সড়কের উপর জলাশয়ের মত চিত্র বিরাজ করছে।
দীর্ঘকালের অবহেলার কারণে সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য অভিশাপ হিসাবে দেখা দিয়েছিল। অনেক দেন দরবরার ও প্রচেষ্টার ফসল হিসাবে অবহেলিত সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রায় ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০১৯ সালে সড়কের কাজ শুরু করা হয় এবং কাজ দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলছিল। করোনার প্রাদূর্ভাব সংস্কার কাজের মাঝ পথে এসে হঠাৎ করে কাজ বন্দ হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাথর ও বালি উঠে সড়কের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় খানা খন্দক। এতে পানি জমে সড়কটিকে করে তুলেছে বিপদজনক। চাকার ধাক্কায় সড়কের খাদের পানি ছিটকে অন্য যানবাহন, পথচারী ও দোকান পাটে কর্দমাক্ত পানিতে প্রতি নিয়ত একাকার হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সড়কটি পূর্বের থেকেও আরও চরম বিপদজনক হয়ে উঠবে।
সড়কের একাধিক মিনিবাস চালক জানান, সড়কের মধ্যে অসংখ্য খানাখন্দকের সাথে যুদ্ধ করে ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে যানবাহন চালাতে হয়। প্রতিদিনই কোন না কোন যানবাহন বিকল হয়ে সড়কের মধ্যে পড়ে থাকে। আর সড়কের মধ্যে যানবাহন বিকল হওয়ায় ভোগান্তি বেড়ে যায় চলাচলরত সাধারণ যাত্রীদের। বুধহাটা বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, বর্ষার পানি সড়কের মধ্যে গর্তে জমে থাকায় গাড়ির চাকার ধাক্কায় ময়লা পানিতে তাদের দোকান ও ক্রেতাদের পোষাক নোংরা করে দিচ্ছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, পোর্ট বন্দ থাকার কারণে আমরা পাথর আমদানি করতে পারছি না। তবে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে রাখতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে পুনরায় সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।