তালায় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ লাঞ্চিত
সাতক্ষীরা তালায় খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন (রাজুর) হাতে বিকাশ সানা(৬০) নামের এক বৃদ্ধকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বিকাশ সানা কুলাপোতা গ্রামের মৃত কালিপদ সানার ছেলে ।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ জুন রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যান ১২-১৩টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে কুলপোতার বিকাশ সানার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় চেয়ারম্যানের সাথে থাকা বাহিনী বিকাশ সানার বসতঘরে ঢুকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে যায় ।
বিকাশের স্ত্রী তাদের বাধা দিলে এসময় তারা তাকেও লাঞ্ছিত করে । এসময় বৃদ্ধকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান। প্রায় ৫০-৬০ জন লোকের সামনে এভাবে একজন বৃদ্ধকে মারপিটের ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮জুন) সরজমিনে গেলে বিকাশ সানা জানান, আমি মাছের চাষের সুবাদে কুলাপোতায় জমি কিনে ৯বছর ধরে বসবাস করে আসছি। এক বছর পূর্বে একই এলকার দেবু সরকারের মারফত অনন্দ সরকার আমার কাছ মেয়ের বিয়ের জন্য ৩০,০০০( ত্রিশ হাজার টাকা) ধার নেয়। আমি এই টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় তালবাহনা করতে থাকে। গত বুধবার আমি টাকা চাইলে সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমি আমার সময় মত টাকা দিব পারলে আদায় করে নিস। আমি চেয়ারম্যানের লোক সবকিছু চেয়ারম্যান সামলে নিবে। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার(১০জুন) রাত ৯টার সময় চেয়ারম্যান আমাকে ফোনদিয়ে বলে তুমি বাড়িতে থাক আমি আসতেছি। অতপর চেয়ারম্যান রাত ১১.৪৮মিনিটে আমার কুলাপোতার বাড়ি এসে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীরা আমাকে মারতে মারতে টেনে হিছড়ে রাস্তায় নিয়ে যায়।আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে লাঞ্চিত করে। এসময় আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা আমায় উদ্ধার করে। এসময় তারা আমায় হুমকি দিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমি এখন চরম নিরাপর্তাহীনতায় ভুগিতেছি। আমি এই ঘটনায় সুষ্ট বিচারের জন্য জেলাপ্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে খেরশা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিকাশ সানা একজন সুদখোর সে মাছ চাষ বাদ দিয়ে এলাকায় সুদের ব্যাবসায় নেমেছে। আমি বৃহস্পতিবার ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম মিমাংসার উদ্দেশ্যে। এক পর্যায়ে সে আমার উপর চড়াও হয় । এসময় উত্তেজনার বসবর্তী হয় আমার সাথে থাকা লোকজন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমি এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ এখনো জানায়নি। তবে এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক।