পাঁচতলা থেকে তিন শিশুকে ছুঁড়ে ফেললেন প্রতিবেশী
বহুতল ভবনের সামনের রাস্তায় পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেড় বছরের একটি শিশু। দোতলার ঝুলতে থাকা তারের জটে সাত বছরের আরেক শিশু তখনো ঝুলছে। আর পাঁচতলা থেকে আরেক শিশুকে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন এক উন্মত্ত বৃদ্ধ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোববার বিকেলে কলকাতার বড়বাজারে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পাঁচতলা থেকে তিন শিশুকে ছুঁড়ে ফেললেন শিবকুমার গুপ্তা নামের এক ব্যক্তি। এমন দৃশ্য দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিলেন কলকাতার বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেট ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুদের কোলাহলে অতিষ্ঠ হয়ে শিশুদের ছুঁড়ে ফেলেন বলে জানায় ওই ব্যক্তি।
এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেড় বছরের এক শিশুর। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরেকজন। এক শিশু বারান্দার রেলিং ধরে ফেলায় তেমন আঘাত লাগেনি তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শিবকুমারের ঘরের সামনে খেলা করছিলো শিশুরা। খেলার সময় কয়েকবার ধাক্কা লাগে ওই বৃদ্ধের ঘরের দরজায়। সম্ভবত এতেই বিরক্ত হয়ে ওই শিশুদের ওপর চড়াও হন তিনি।
অন্য এক প্রতিবেশী বলেন, আমি বাবার ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় একটি শিশু আমার সামনেই উপর থেকে পড়ল। দেখে বোঝা যাচ্ছিলো যে তার শরীরে প্রাণ নেই। অন্য শিশুটিও হয়তো নিচে ছিটকে পড়ত। কিন্তু সে ওই তারের জটলায় আটকে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিচে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তারে ঝুলে থাকা শিশুটিকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে।
কলকাতার বুকে এই নৃশংসতায় হতবাক স্থানীয়রা। তারা জানায়, অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে শিশুদের পরিবারের বিবাদ ছিল। কিন্তু সেজন্য শিশুদের পাঁচতলা থেকে ছুঁড়ে ফেলা সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ কি না খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।