ডুমুরিয়ায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের লুকোচুরিতে গ্রাহক দূর্ভোগ চরমে
ডুমুরিয়ায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের লুকোচুরিতে গ্রাহকদের দূর্ভোগ বেঁড়েছে। ডুমুরিয়ায় বিভিন্ন গ্রামে দিনে রাতে একটু পর পর বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ-সংযােগ বিচ্ছিন্ন রাখার ঘটনা ঘটছে। একটু জোরে বাতাস বইতে শুরু করলেই সংযােগ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মাস ধরে চলা এ সমস্যা ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরে আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর থেকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসে আর যায়। এভাবে বিদ্যুাৎ এর এই লুকোচুরিতে সাধারণ গ্রাহকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিভিন্নবাণিজ্যিক এলাকা ও গ্রামের হাটবাজারে বিকল্প ভাবে বিকট শব্দে জেনারেটর চালাতে দেখা যাচ্ছে।
ডুমুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, দিনের ২০ থেকে ২৫ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। কিন্তু মাস শেষে বিল না দিলে বাড়ি এসে বিল নিয়ে যাচ্ছে ।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানা যায়, খুলনা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা তাদের ভোগান্তি নিয়ে চাহিদা ২৮মেগাওয়াট। সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ মাত্র ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে দায় সারছেন। এ দিকে ভুক্ত ভুগিরা বলেন, প্রয়ােজনের মুহুূর্তে বিদ্যুৎ থাকে না। কোনাে কোনাে গ্রামে দিন-রাত মিলিয়ে দুই ঘণ্টার মতাে বিদ্যুৎ-সংযােগ থাকার কথা বলেছেন অনেকে।
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের এসব অভিযােগ স্বীকার করেছেন কত্তৃপক্ষ। খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে জানানাে হয়েছে, সরবরাহ লাইনে ক্রুটির কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। এই ত্রুটির কারণে সাবস্টেশন ও ট্রান্সফরমারগুলাে চাপ নিতে পারছে না। এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও গত ২৭ মে রাতে টর্ণেডোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে সাধারণ গ্রাহকদের একটু কষ্টসাধন করতে হবে।
ডুমুরিয়া জোনাল অফিসে ডি জি এম মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, তারা দিনে চাহিদা মত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করেন। কিন্তু ঝড়, গাছপালা ভেঙে যাওয়া ও সরবরাহ লাইন চাহিদামতাে বিদ্যুৎ না পাওয়ার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, লােডশেডিংয়ের সমস্যা শহরের ভেতরে নেই। গ্রামের দিকে আছে। এর সমাধান করতে সরবরাহ লাইন ত্রুটিমুক্ত হওয়া দরকার। তাহলেই নির্বিছন্ন বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হবো।
Please follow and like us: