আশাশুনিতে ত্রাণ পেতে লম্বা লাইন; সামাজিক দূরত্ব অমান্যে
করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ রোধে সরকার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জন প্রতিনিধিসহ সচেতন মহল গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছে। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছেনা। তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, কি করলে মানুষ নিজের ক্ষতি বুঝতে শিখবে? কি করলে মানুষ সকলের ক্ষতিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারি নির্দেশনা মানতে স্বতঃস্ফুর্ত হবে?
উপজেলা প্রশাসন, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রচার, প্রতিরোধ, শাসন ও জরিমানা করার পরও মানুষ ঘরের বাইরে আসছে মাক্স ব্যতীত, ঠেলাঠেলি করে গায়ে গা মিলিয়ে হাট-বাজারে ঘুরছে। ব্যাংক, অফিস, মসজিদ, মন্দির সকল স্থানে মাক্স ও সামাজিক দূরত্বকে অবহেলা করা হচ্ছে। চা’র স্টলে দিব্যি খোলামেলা ভাবে চা-বিড়ি পান ও গল্পের আড্ডা বসছে। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ, খাদ্য, অর্থ সহায়তা ও ঔষধ পেতেও মানুষকে মাক্স ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব অমান্যের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত যত ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে, তার বড় অংশে এ নিয়ম ভঙ্গের চিত্র দেখা গেছে। গত শুক্রবার তালতলা বাজারে একটি ব্লাড ডোনেশান সংগঠন শুকনো খাবার বিতরণ করে। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় খুলনা ভিত্তিক সংগঠনটি দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে এখানে আসে। খকবর পেয়ে মুহুর্তের মধ্যে শিশু বৃদ্ধসহ শত শত মানুষ জড়ো হয়ে যায়। ত্রাণদ্বাতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খাবার পেতে কে আগে পৌছতে পারে এনিয়ে ছিল প্রতিযোগিতা। এচিত্র সকল স্থানের। মানুষ সচেতন না হলে নিয়ম মানা কঠিন হয়ে থাকে। অভিজ্ঞ মহলের দাবী, ত্রাণ বিতরণে একস্থানে মানুষকে না আনা ভাল। প্রয়োজনে তালিকা করে গ্রামে গ্রামে ছোট্ট পরিসরে বা বাড়িতে বাড়িতে পৌছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যারা লাইনে দাড়ানোতে অভ্যস্ত, যারা ঠেলাঠেলিতে পটু এমন মানুষ একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছে, কিন্তু এমন অনেকে আছেন, যারা লাইনে, ভিড়ের মধ্যে খাড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারেননা, তারা অনেক ক্ষেত্রে রিক্তহস্তই থেকে যাচ্ছেন। আর করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা নিরন্তর পদদলিত করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও জন প্রতিনিধিদের কঠোর ব্যবস্থাপনা প্রত্যাশা করছেন সচেনত মহল।