বাগেরহাট এমপি শেখ তন্ময়ের করোনা পজিটিভ; দোয়া চাইলেন দেশবাসীর কাছে
আইসোলেশনে এমপি শেখ তন্ময়, দোয়া চাইলেন দেশবাসীর কাছে. বাগেরহাট-২ আসনের তরুণ সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় (শেখ তন্ময়) আইসোলেশনে রয়েছেন। জানা যায়, তার ব্যক্তিগত সহকারীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে আইসোলেশনে যান তিনি।শেখ তন্ময় জানান, ‘আমার ব্যক্তিগত সহকারীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিকিৎসকের পরামর্শে আইসোলেশনে আসি। যেহেতু আমার বাবা হার্টের রোগী এবং আমার দাদী বয়োর্ধ সে জন্যই আমি বাসার বাইরে মামাতো ভাইয়ের বাসায় আইসোলেশনে আছি।
করোনার শুরুতেই নানা ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন এ সংসদ সদস্য। হটলাইনের মাধ্যমে ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয় রোগীর কাছে ডাক্তার’ স্লোগানে নিজের সংসদীয় আসনে চিকিৎসাসেবা চালু করেন তিনি।
‘গর্ভবতী মায়েদের ঘরে পুষ্টিকর খাবার, ভবিষ্যতের কাছে বর্তমানের অঙ্গীকার’ এই স্লোগান সামনে রেখে বাগেরহাট-২ আসনে এক হাজার ৭০৪ জন সন্তান সম্ভবা মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ডাক্তারদের জন্য সেফটি চেম্বারও স্থাপন করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শেখ তন্ময় নিজেই সার্বক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন দলীয় নেতাকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ সবার সাথে যোগাযোগ রেখে আম্ফান মোকাবেলা করেছেন।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে শেখ তন্ময় জানান, আমার ব্যক্তিগত সহকারীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শে আইসোলেশনে আসি। যেহেতেু আমার বাবা হার্টের রোগী এবং আমার দাদী বয়সয়োর্ধ সে জন্যই আমি বাসার বাইরে মামাতো ভাইয়ের বাসায় বর্তমানে আইসোলেশনে আছি।
চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগদান বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে যেহেতেু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আসন বণ্টন করা হয়েছে। রিপোর্টের ফলাফল নেগেটিভ আসলে ২৩ জুন বাজেট অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। আইসোলশেনে থাকলেও মুঠোফোনের মাধ্যমে এলাকার সার্বিক কর্মকাণ্ড মনিটরিং করছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন শেখ তন্ময়।
এমপি শেখ তন্ময় তিনি করোনা সংকটের শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। প্রথমত, তিনি দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, তার এলাকার করোনায় আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করছেন। চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষদের ঘরে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার এসব উদ্যোগ ব্যাপকভাবে জনগণের কাছে অভিনন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে।শুধু তা-ই নয়, বাগেরহাটে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের দাফন যাতে ঠিকমতো হয় সেই ব্যাপারেও তিনি তদারকি করছেন। করোনা সংকটের সময় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তিনি এলাকায় যেমন ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন, তেমনি মানুষকে সচেতন করা এবং অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার ব্যাপারেও তার উদ্যোগ প্রশংশা পেয়েছে।শেখ সাইফুল ইসলাম কবির