দেবহাটায় এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা
সাতক্ষীরার দেবহাটায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দাউদ নিকারী (৪০) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে জখমসহ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত দাউদ নিকারী সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ঘড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত সোলায়মান নিকারীর ছেলে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে দাউদ নিকারীকে এলাপাথাড়ি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে একই গ্রামের ইব্রাহিম নিকারীসহ তার তিন ছেলে মিজানুর (২০), আজহারুল (২৫), রফিকুল (৩৫) এবং পাশ্ববর্তী আহম্মদ নিকারীর ছেলে আজগর নিকারী। আহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, দাউদ নিকারী পটুয়াখালীতে একটি ইটের ভাটার সর্দার হিসেবে কর্মরত ছিলো। কর্মরত থাকাকালীন সে নিজ এলাকার ইব্রাহিম নিকারীর ছেলে মিজানুরসহ বহু লোককে ওই ইট ভাটায় চুক্তি ভিত্তিতে কাজ দেয়। কিন্তু মিজানুর ইটভাটা কতৃপক্ষের কাছ থেকে দাদনের টাকা নিলেও চুক্তি মোতাবেক কাজ না করে বাড়ীতে চলে আসে।
এঘটনায় ইটভাটা কতৃপক্ষ মিজানকে দেয়া দাদনের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য দাউদ নিকারীকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিগত প্রায় পনেরো দিন আগে দাউদ নিকারীও বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে সে মিজানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা দাউদ নিকারীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় দাউদ নিকারী বাড়ীর পাশ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে যাচ্ছিল। এসময় আকর্ষিক আহম্মাদ নিকারীর ছেলে আজগার নিকারীর ইন্ধনে ইব্রাহিম নিকারীসহ তার তিন ছেলে মিজানুর, আজহারুল ও রফিকুল দাউদ নিকারীর ওপর হামলা চালিয়ে কাঠ ও বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা দাউদ নিকারীর কাছে থাকা গামছা তার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের পরিবার জানিয়েছে।