সাতক্ষীরার তালায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ; আহত ০২ 

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার একই গ্রামে প্রতিবেশী দের সাথে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানেরও করোনা ভাইরাস চলাকালে, হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কে কেন্দ্র করে, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উপজেলার ইসলাকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামে ঘটনা টি ঘটেছে, বিস্তারিত তথ্য মতে জানাযায় ২২-০৫-২০২০ তারিখে সকাল ১১টার সময়  ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা কে কেন্দ্র করে, ভুক্তভোগী পরিবারের ত্রাণ সামগ্রী নিতে না যাওয়ার কারণে এবং তারা ত্রাণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করার কারনে, এলাকায় প্রভাবশালী কাজী বাসারাতুল্লাহ পুত্র ১, কাজী লিমন (৩৫) ২, কাজী হাবিবুল্লাহ(৪৫)  কাজী লিমনের স্ত্রী ৩, মোছাঃ লাবনী আক্তার পপি (৩০) কাজী হাবিবুল্লার স্ত্রী ৪, মোছাঃ রিনু সুলতানা (৩৮) উত্তেজিত হয়ে, হাতে দা লোহার রড শাবল এবং দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, একই গ্রামের মৃত সবুর রহমানের পুত্র মীর আব্দুল হামিদ(৫৮) মীর আব্দুল হামিদ এর স্ত্রী, মোছাঃ ছবিরন বেগম (৪৫ তাদের বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে, বেদম মারপিট করে, মীর আব্দুল হামিদ ও তার স্ত্রী ছবিরন বেগম তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, বিষয়টা নিয়ে তারা মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও,প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারণে মামলা করতে সক্ষম হচ্ছে না,
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ বলেন আমরা গরীব মানুষ ওরা সবাই বড়লোক, ওদের কথা মত ত্রাণের চাউল না নিতে যাওয়ার কারণে, আমাদেরকে বিভিন্ন গালিগালাজও মারপিট করেছে,আমাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় বাড়ি মারলে আমি মাথা নীচু করলে বাড়িতে আমার বাম পাশে চোখের নিচে লাগে সেখানে ছয়টা সেলাই দিতে হয়েছে, পরে আবার আমার মাথায় বাড়ি মারতে আসলে সেই বাড়িটি আমার ডান পাশের কাধে লেগেছে,আমরা ওদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছিনা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে মামলা করলে আমাদেরকে এবার জানে মেরে ফেলবে। এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধানে আব্দুল হামিদ এর স্ত্রী ছবির বেগম আমাদেরকে জানান, কাজী লিমন আমার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলেছিল, সেসময় লাবনী আক্তার আমার গলা থাকার স্বর্ণের চেইন টি ছুরি করিয়ে নেয় যার আনুমানিক মূল্য ৪০০০০৳হাজার টাকা, আমাকে চুলের মুখে ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া  টানাহেঁচড়া করিতে করিতে রিনা সুলতানা এসে আমার কানের দুল নিয়ে যায় তার আনুমানিক মূল্য ৩০০০০৳ হাজার টাকা। আমরা নয় দিন হসপিটালে ছিলাম,কোথাও কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ভুক্তভোগী বলেন, ওরা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে মামলা করলে আমাদের জীবন শেষ করে দেবে,
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ কাজী  হাবিবুল্লাহ সুমনের এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ওই দিন ওদের সাথে মারামারি হয়েছে আমাদের। আমার ভাইকে কামড়িয়ে ধরেছিল রড বের করে এনেছিল তাই আমি ওদেরকে মেরেছি, ভুক্তভোগীরা কোন চিকিৎসা গ্রহণ করেছে কিনা আমি বলতে পারব না। ঘটনাটি বিষয়ে কোথাও মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা থানা একটা অভিযোগ করেছি, ওরাও মনে হয় করেছে সঠিক বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে ৭ নং ইসলামকাটি ইউনিয়নের০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, জনাব শেখ এজাহার আলী  আমাদেরকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি কখন হয়েছে মারামারি সেটা বলতে পারবো না, তবে আব্দুল হামিদ হসপিটালে ভর্তি ছিল আমি জানি, হামিদের বউ আমার কাছে এসেছি, আমি প্রতিপক্ষ সুমনের কাছে জিজ্ঞেস করেছি,এবং বলেছি ওরা গরিব মানুষ গ্যাঞ্জাম করেছঝ কেন বিষয়টি মিটিয়ে নাও, এ বিষয়ে কোথায় কোন মামলা হয়েছে কিনা আমি জানিনা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সুভাষচন্দ্র বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই, কোন পক্ষ আমার কাছে আসিনি,তবে বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি জানতে পারলে আপনাদেরকে জানাবো।
ভুক্তভোগিদের নামে  প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ সুমনেরা তালা থানায় যে অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে  এ এস আই নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি জানি, অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কারণে পরে জানাবেন বলেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)