দেবহাটায় দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়েছে স্বামী!
সাতক্ষীরার শ্রীরামপুরে দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (২৯) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করেছে স্বামী আবু জাফর বিশ্বাস। স্বামীর মারপিটে আহত গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের হামিদ সরদারের মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী।
রোববার শ্রীরামপুরে শ্বশুরবাড়ীতে থাকা অবস্থায় স্বামী আবু জাফরের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূ সাবিনা। আহত গৃহবধূর ভাই আবু বক্কর সরদার জানান, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আবু জাফরের (৩২) সাথে তার বোন সাবিনা ইয়াসমিনের ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালো কাটলেও পরবর্তীতে একাধিক পরস্ত্রীদের সাথে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আবু জাফর। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্মগ্রহন করে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান। পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে একাধিকবার পরস্ত্রীদের সাথে অনৈতিক অবস্থায় হাতেনাতে ধরাও খেয়েছেন আবু জাফর। এসব ঘটনায় শালিস বিচারে জনসম্মুখে স্ত্রী সাবিনাসহ এলাকাবাসীর কাছে মাফ চেয়ে রেহাইও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মামুন হোসেনের স্ত্রী হেনা পারভীনের (৩০) সাথে আবারো পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় শুরু হয় স্ত্রী সাবিনার ওপর স্বামী আবু জাফরের শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন। ক্রমশ তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে আবু জাফর মারপিট করতে শুরু করেন সাবিনাকে। সম্প্রতি আলীপুরের মামুনের স্ত্রী হেনা পারভীনকে বিয়ে করে রবিবার নিজের বাড়ীতে নিয়ে যায় জাফর। এসময় স্ত্রী হিসেবে স্বামী জাফরের দ্বিতীয় বিয়ের তীব্র প্রতিবাদ করেন সাবিনা। একপর্যায়ে আবু জাফর ও সদ্য বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রী হেনা পারভীন মিলে প্রথম স্ত্রী সাবিনাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এঘটনায় আহত গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।