করোনা ভাইরাস এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সহায়তার দাবি
মহামারি করোনা ভাইরাস এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহায়তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাতক্ষীরার দেবহাটার ঘলঘলিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর মুকুলের ছেলে মোস্তফা জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক সম্পন্ন করি। একইসাথে মালয়েশিয়ার সুলতান জয়নাল আবেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক শিক্ষা কেন্দ্র আলফা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে সার্টিফিকেট ইন বিজনেস এডমিনস্ট্রেশন কোর্স সম্পন্ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষিত যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে চাকুরির চেষ্টা না করে নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সে অনুযায়ী ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে মসলা প্রস্তুতকারক, ওয়েল প্রস্তুতকারক ও রাইচ মিল ব্যবসা শুরু করি। বিগত ২০১৮ সালে বিভিন্ন এনজিও এর কাছ ঋণ নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা মুকুল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজটি প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের প্রস্তুতকৃত নারিকেল তেল নেপালে রপ্তানি এবং সরিষার তেল, মসলা ও মুড়ি মধ্যপ্রাচ্য,চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার রপ্তানির উদ্দেশ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করি। কিন্তু আমার সে স্বপ্ন বিলিন হতে বসেছে বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনায় ভাইরাসের কারনে। প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে দীর্ঘদিন কর্মচারীদের বেতন বহন করতে গিয়ে মূলধন ইতোমধ্যে সংকটের দ্বারপ্রান্তে। পাশাপাশি ঋণের বোঝা। সবমিলিয়ে দিশেহারা হওয়ার উপক্রম। এর মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর ঘূণিঝড় আম্ফান আমার প্রতিষ্ঠানটির ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
সেখানে থাকা প্রায় ৮ থেকে ১০লক্ষ টাকার শুকনা মরিচ, সরিষা ও চাউল নষ্ট হয়ে গেছে। এ যেন মরার উপরে খাড়ার আঘাত। এমনিতেই করোনা সংকটে দিশেহারা। তারপর ঝড়ের আঘাত। সব মিলিয়ে বর্তমানে পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছি। একদিকে ব্যবসা বন্ধ, অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি কিভাবে এ সংকট কাটিয়ে উঠবো তা নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। আর এনজিও থেকে গ্রহণ করা ঋণের বোঝা তো রয়েছেই। এসংকটময় মুহুর্তে বেসরকারি সংস্থাসহ সরকারের দপ্তর থেকে মুকুল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজটি প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করে তার মত শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তাদের মনবল বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।