সাত মাস আগে তৃতীয় বিয়ে করেছেন নোবেল
গেলো বেশ কিছুদিন ধরে নিজের গানের জন্য বিতর্কিত প্রচারণা করে আবারও সমালোচনায় মাঈনুল আহসান নোবেল। এর জন্য অবশ্য র্যাব কার্যালয়ে গিয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন বাংলাদেশের এই উড়তি গায়ক। তবে বিতর্ক আর সমালোচনা যেন একে বারেই পিছু ছাড়ছে না তার।
সমালোচনার রেশ না কাটতেই খবর মিলল সাত মাস আগেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেছেন নোবেল। সেই বিয়ের কাবিননামাও পাওয়া গেছে।
ওই কাবিননামায় দেখা গেছে, ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল নামের এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নোবেল।
বর্তমানে সেই মেহরুবা সালসাবিলকে নিয়ে রাজধানীর নিকেতন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন নোবেল। ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত আছে নোবেলের এমন একাধিক ঘনিষ্টজনও নোবেলের এই বিয়ের খবর নিশ্চিত করেছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নোবেলের এক ঘনিষ্ঠজন এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন, মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে এটি নোবেলের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে রিমি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন নোবেল। তবে মতের অমিল হওয়ার সেই সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। রিমিই ডিভোর্স দিয়েছিলেন নোবেলকে। এরপর এক আত্নীয় সঙ্গেও সংসার শুরু করেছিলেন নোবেল তবে সেই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটে।
এদিকে নোবেলের এই বিয়ের প্রসঙ্গে খোঁজ নিতে নোবেলের জন্মস্থান গোপালগঞ্জেও যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার নোবেলের এক বন্ধু দাবি করেছেন, ছোটবেলা থেকে বেশ দুরন্ত নোবেল। প্রথমে এস.এম. মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও একটা ঝামেলায় জড়িয়ে স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হয় নোবেল। তবে নবম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় এক নারীকেন্দ্রিক ঘটনায় তাকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর আর গোপালগঞ্জে সেভাবে দেখা যায়নি। আর নোবেলের বিয়ের প্রসঙ্গে স্থানীয় অনেকেই জানেন।
যদিও এসব প্রসঙ্গে মাঈনুল আহসান নোবেলের মন্তব্য জানতে নোবেলের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকার কয়েক ধাপে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গান গেয়ে যতটা না আলোচনায় এসেছেন তার চেয়ে যেন বেশি সমালোচনায় মাঈনুল আহসান নোবেল। শুরুটা জাতীয় সংগীত বিতর্ক দিয়ে। এরপর আলোচনায় কথিত প্রেমিকা কর্তৃক নিজের নগ্ন ছবি ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে। এছাড়া গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিলো নোবেলের বিরুদ্ধে। যদিও পরে এ ব্যাপারে কোন মামলা হয়নি।