কলারোয়ায় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে বাধা;সন্ত্রাসী হামলায় ৬জন আহত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মসজিদে ঈদে জামায়াত আদায় করতে দিলো না ১২ সন্ত্রাসী যুবক। এতে প্রতিবাদ করায় ৬জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর জখম অবস্থায় ২জনকে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
২৬মে মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, জাফরপুর গ্রামে ৫ওয়াক্ত নামাজের জন্য তিনি জমি দিয়ে মুসল্লিদের জন্য মসজিদের জায়গা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ওই মসজিদ কমিটিতে জমিদাতা হিসাবে রয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে এনিয়ে ওই গ্রামের সোহরাব উদ্দীন,আমির হোসেন, কবিরুল ইসলাম, আবু রায়হান, আবুল হোসেন, আলী হোসেন, জাহিদ হোসেন, মোক্তার আলী, আজহারুল ইসলাম, জাহান আলী, সোহাগ ও ইমরানের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ঈদের দিন মুছল্লিগন ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য একত্রিত হলে তারা দলবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায়ে বাধা গ্রস্থ করে। পরে পাশ^বর্তী এলাকায় গিয়ে মুছল্লিগন ঈদের নামাজ আদায় করেন। পরে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে কৃষক আব্দুর রহিমের বাড়ীতে ভারতীয় বাজি ছুড়ি মারে। এতে প্রতিবাদ করাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক আব্দুর রহিমের স্ত্রী আতিমন খাতুন (৪০) ও ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) কে ধরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে নিলাফোলা জখম করে। এক পর্যায়ে তারা প্রাণ ভয়ে দৌড় দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে দরজা দিয়ে রাখে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তাদের। ওই সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে গলায় থাকা স্বর্ণের ১০ আনা ওজনের একটি চেইন ও নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে পাশ^বর্তী এলাকার শহিদুল, আব্বাস আলী, জুলফিকার, আব্দুর রশিদ এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। এসময় তাদেরও অনুরুপ ভাবে মারপিট করা হয়। এঘটনা উল্লেখ্য করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন।