আম্ফানে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি পৌনে দুই কোটি টাকা
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে পূর্ব সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার আটশ’ টাকা। এর মধ্যে বনের গাছের ক্ষতি সাত লাখ ৬০ হাজার একশ’ টাকা। অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার আটশ’ টাকা। তবে, বন্যপ্রাণীর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের দুই সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির দাখিলকৃত রিপোর্টে এ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টটি গতকাল সোমবার সকালে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সুন্দরবনের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় উপকূলবাসী রক্ষা পেলেও বনের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ২১ মে, শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। ওই কমিটি তিন দিন সুন্দরবন পরিদর্শন করে (রোববার) বিভাগীয় দফতরে রিপোর্ট দাখিল করেন।
দাখিলকৃত ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই রেঞ্জের তাল, বট, ঝাউ, শিরিস ও নাড়িকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ২৬টি গাছ উপড়ে গেছে এবং বেশ কয়েকটি গাছের লট ভেসে গেছে। এছাড়া অবকাঠামোগত ১৭টি পুকুর, ১৮টি কাঠের জেটি, ১৬টি অফিস, আটটি স্টাফ ব্যারাক, ২১টি সোলার, ১৬টি পানির ট্যাঙ্ক, পল্টুন একটি, ওয়াচ টাওয়ার একটি, ফুট ট্রেইল দুইটি, হরিণের শেড একটি, ডলফিনের শেড একটি ও দুইটি গোলঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী বা ম্যানগ্রোভ গাছের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।
বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এসব ক্ষয়ক্ষতি টাকার হিসাবে ২৬টি গাছের মূল্য এক লাখ ৩৪ হাজার পাঁচশ’, ভেসে যাওয়া লটের মূল্য পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ছয়শ’ এবং অবকাঠামোর ক্ষতির মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার আটশ’ টাকা হিসাবে মোট এক কোটি ৬৭ লাখ ৭৩ হাজার নয়শ’ টাকা। ক্ষয়ক্ষতি এ রিপোর্ট এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে অবকাঠামোগুলো মেরামত করা হবে।