ডুমুরিয়া অঞ্চলের রসেভরা কাগজী লেবুর চাষ,চাষিদের বাম্পার ফলন
ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের কৃষকগণ বিভিন্ন জাতের লেবু চাষে বাম্পার পলন পাচ্ছে। যেমনএলাচ লেবু, দেশি কলম্বিয়া, দেশি কাগজি লেবুসহ বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ করছেন । কাগজী লেবুর চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রুদাঘরা,শাহাপুর,খর্নিয়া,বরা তিয়া ,শোভনা ,শরাফপুর, কালিকাপুর, শৈলগাতিয়াসহ, আটলিয়া, মাগুরাঘেনা, ডুমুরিয়াসহ এ সব এলাকায় কাগজী লেবুর আবাদ বেশি হচ্ছে। বর্তমান চলতি মৌসুমে প্রায় ১০ লাখ টাকার লেবু বিক্রির করছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও রমজান মাসকে ঘিরে ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লেবুর চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। এ অঞ্চলের লেবু চাষিরাও অধিক মুনাফায় বিক্রি করছেন এ লেবু।ডুমুরিয়া সদরের মৃত্যু মুনছুর আলী সরদারের ছেলে লেবু চাষী মনিরুজ্জামান সরদার প্রায় ৬ শতাংশ জমিতে সরবতি, কাগজি ও দেশি জাতের প্রায় ৫ হাজার লেবু উঠান। এসব লেবু প্রতি পিস ৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
অনেকেই তার বাগান থেকে এসে লেবু ক্রয় করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের বেকার যুবক নবদ্বীপ মল্লিক, আসমা খাতুন, ৩ ৩ শতাংশ ও বাসুদেব পশারী জানান, ৩৩ শতাংশ জমিতে এলাচ (সরবতি) লেবু,কলম্বিয়া লেবু ও কাগজি লেবুর বাগান করেন তিনি। এ বাগানে প্রথমে ৫০টি এলাচ লেবু, ৪০টি কলম্বিয়া লেবু ও ৩০টি কাগজি লেবু গাছের চারা রোপন করেন। বর্তমানে বাগানে লেবু ধরা শুরু করেছে। এ লেবু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
ডুমুরিয়ার আনোয়ারা আড়তের আড়ৎদার আব্দুর রহিম জানান, ডুমুরিয়ায় দৈনিক ২০ থেকে ২৫ বস্তা লেবু পাইকারি বিক্রি হয়। প্রতি বস্তায় ২ হাজার লেবু থাকে। পহেলা রমজানে ৮০ পিস লেবু ৮শ থেকে শুরু করে হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪শ টাকায় এলাচ, দেশি কলম্বিয়া, দেশি কাগজি লেবুসহ বিভিন্ন জাতের লেবু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪৪ হেক্টর জমিতে লেবুর আবাদ হয়েছে। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তবে অনেক বেকার যুবক এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামাঞ্চল থেকে কিনে পাইকারিভাবে লেবু কেনাবেচা করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে লেবুর চাহিদা অনেক বেশি।
Please follow and like us: