ঘূর্নিঝড় আম্ফানে শ্যামনগরের ঝুঁকিপূন্য বেড়ীবাঁধ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি
সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১ এর অধিন ০৫ নং পোল্ডারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কৈখালীর সীমান্ত ওয়াবদার বেড়ীবাঁধ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি, পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গনসৃষ্টির আশংকা ৷ বাংলাদেশের শেষ, বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের চারিপাশ দিয়ে নদী অববাহিকার ফলে কৈখালীকে শ্যামনগর উপজেলার একটি দ্বীপ নামে পরিচিত। এই দ্বীপে একটি ইউনিয়ন রয়েছে। যা এই এলাকার মানুষেরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসাবস করে আসছে । এর মধ্যে কৈখালী একপাশে ভারত সীমান্ত যা ভেঙ্গে চলেছে প্রতিনিয়ত । বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে চলেছে নদীর গর্ভে । এর মধ্যেও কোন প্রতিকার করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ৷ ইউনিয়নের মানুষের রাতের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে নদী ভাঙ্গন । যে কোন মুহুত্বে কালুন্দী নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে শত শত পরিবার এবং সেই সাথে প্লাবিত হতে পারি একটি ইউনিয়ন। লোনা পানিতে ভরে যাবে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। কালুন্দী নদীর ওয়াপদার বেড়ী বাঁধ ভাঙ্গনে রাস্তাটি অর্ধেক হয়ে গেছে । বর্তমান দূর্যোগের প্রভাবে কালুন্দী নদীর জোয়ার ফুলে উঠলে বেড়ীবাঁধ ও রাস্তাটি নদীর গর্ভে চলে যেতে পারে । নদীটি বড় এবং গভীরতা ও অনেক বেশী। যা খুব দ্রুত কাজ হবে বলে মনে করছি।
তবে স্থানীয়রা জানান, বড় কোন দূর্যোগ দেখা না দিলে এই বেড়িবাঁধের কোন মাতব্বর থাকে না ৷ বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গলে তারা আসেন এবং নদীর চর থেকে একটু মাটি কেটে কোন রকমে দিয়ে কিছু ছবি তুলে চালে যায় ৷ আর কোন খোঁজ থাকে না ৷
সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১ এর অধিন¯’ ০৫ নং পোল্ডারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভেটখালী পওর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, বিগত অর্থবছরে ২টা পয়েন্টে কাজ করেছিলাম। বর্তমানে একটি পয়েন্টে কাজ চলমান ৷ আর বর্তমান অর্থবছরের বাকি কয়েকটা পয়েন্টে কাজ করার জন্য আমরা উদ্বর্তন কর্তৃপকে অবগত করেছি। আর বিজিবি থেকে একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
Please follow and like us: