আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান,সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায়
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ক্রমশই শক্তি সঞ্চয় করে ‘প্রবল’ রূপ ধারণ করে অগ্রসর হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি এখন ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন সমুদ্র বন্দরে বিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে।
সমুদ্র বন্দর মোংলা ও পায়রাতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেখানো হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। এর আগে চার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।
সোমবার বিকেল ৪টায় ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়া অফিসের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে এসব অঞ্চলে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আম্ফান আরো কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আরো কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করেছে। ঝড়টি বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে আছে। এটি আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এটি ঘনীভূত হয়ে দেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আসতে পারে। ১৯ মে শেষ রাত থেকে ২০ তারিখ বিকেল, এই মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।