কলারোয়ায় ঢাকা থেকে আসা এক গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত: ৫ টি বাড়ি লকডাউন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের ডারকি গ্রামের বাসিন্দা মাজেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টসের বায়িং হাউজ কর্মী। গত ১০ মে ঢাকা থেকে ওই ব্যক্তি নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন । ১২ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান,আক্রান্ত রোগীসহ আশে পাশের ৫টি বাড়িতে লাল পতাকা তুলে লকডাউন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ইউএনও, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং কলারোয়া থানার ওসি করোনা পজিটিভ ওই ব্যক্তির বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা করোনা পজিটিভ ব্যক্তির বাড়িটিসহ তার কন্টাক্টে আসা ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করাসহ রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন। যদি শারীরিক অবস্থা ভাল থাকে তাহলে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হবে, খারাপ হলে হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত বায়িং হাউজ কর্মী মাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি গত দেড় মাস ঢাকায় লকডাউনে নিজ বাসাতেই ছিলেন। ১০ মে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি আসেন। শরীরে কোন উপসর্গ না থাকলেও ১২ মে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে নমুনা পরীক্ষার জন্য বলা হয়। তিনি গিয়ে নমুনা দিয়ে আসেন। আজ তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোন করে জানিয়েছেন তার করোনা রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পজিটিভ আসলেও আমার শরীরে জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি, কাশিসহ সংশ্লিষ্ট কোন উপসর্গ নমুনা দেওয়ার সময়ও ছিল না, এখনও নেই।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত ৫জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন গার্মেন্টস কর্মী সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরায় এসেছেন। প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আর নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন কর্মস্থল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় আসা (জেলার ১ম শনাক্ত) যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মাহমুদুল হক সুমন।
এছাড়া বাকী দু’জনের একজন বাড়িতে ও আরেকজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আইসোলেশনে আছেন।