দেবহাটায় ভ্যানচালককে মারপিটের প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম
সাতক্ষীরার দেবহাটায় ভ্যানচালককে বিনা অপরাধে মারপিটের প্রতিবাদ করায় ইব্রাহিম হোসেন মিলন (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া খাদ্য গুদামের সামনে এঘটনা ঘটে। মারপিটে জখম ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলন পারুলিয়াস্থ জলিল হ্যাচারী অভিমুখের মরহুম মোতালেব সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলন জানান, বৃহষ্পতিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে পারুলিয়া খাদ্য গুদামের সামনে পৌছালে তিনি দেখতে পান যে বিনা অপরাধে একজন নীরিহ রোজাদার ভ্যানচালককে রাস্তার ওপর ফেলে বেধড়ক মারপিট করছে উত্তর পারুলিয়া চারাবটতলা এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন, শামীমের চাচা সাহেব আলী ও গফুর মাষ্টারের ছেলে মৃধাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক মুকুল হোসেন। এসময় ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে আহত ভ্যানচালককে উদ্ধারসহ বিনা অপরাধে তাকে মারপিটের প্রতিবাদ করেন ব্যবসায়ী মিলন। পাশাপাশি মারপিটকারীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন তিনি। তারা চলে গেলে ঘটনাস্থলের পাশে নিজের বোন ফতেমা খাতুন রুমা’র দোকানে অবস্থান করছিলেন ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলন। এঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে মারপিটকারী শামীম হোসেন, সাহেব আলী ও মুকুল হোসেন ৪/৫টি মোটার সাইকেলে তাদের দলবল নিয়ে আবারো ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলনকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তার বোন ফতেমা খাতুন রুমা ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তারা ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলনের কাছে থাকা নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা ও তার আহত বোনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলেও অভিযোগ আহতদের। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন মিলনকে উদ্ধার করে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু বাদী হয়ে হামলাকারী শাহীম হোসেন, সাহেব আলী ও মুকুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।