পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ বিল দিতে যাওয়া গ্রাহকদের নেই কোন সামাজিক দূরত্ব
সাতক্ষীরার (পাটকেলঘাটা) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে বিদ্যুৎ বিল দিতে যাওয়া গ্রাহকদের উপছে পড়া ভিড় , দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের জনসভা হচ্ছে। দেখার জন্য অনেক কষ্ট করে কাছে গিয়ে দেখলাম, যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা তাদের বিগত দুই মাসের বিল পরিশোধের জন্য, বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বর্তমানে নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হাত থেকে রক্ষা পেতে, অফিসের ভিতরে কোন বিল নেওয়া হচ্ছে না। এমনকি অফিসের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভবনে ঢুকতে, ঠিক মেইন গেটের ডানপাশে, ভিআইপি রেস্ট হাউজের নিচে, বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য ভূত করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য তিনটি ভূত থাকলেও মহিলাদের জন্য মাত্র একটি ভূত। সেখানে তালা উপজেলা থেকে যাওয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইমদাদুল, দেবাশীষ দাস, সহ অনেকেই এত জনগণের মাঝে দাঁড়াবে না,অবশ্য তাদের জনগণের মাঝে দাঁড়াতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু করন ভাইরাসের কারণে
তারা এত ভিড়ের মাঝে যেতে আগ্রহী নয়। ভুতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এজিএম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাতক্ষীরা কে, তারা অনুরোধ করেন, আমরা এত ভিড়ের মাঝে যাব না, এখানে সামাজিক কোন দূরত্ব বজায় নাই, অসংখ্য লোকজন গা ঘেঁষে একজন আরেকজনের উঠে পড়ছে। আমাদের বিল গুলো এদিক থেকে নিন। এ কথা বলা মাত্রই এজিএম সাহেব, তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য, এবং সামনে সাধারণ ভিড়ের মাঝে দাঁড়ানোর জন্য কঠিন ভাষায় বলতে থাকেন। আরো উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি, কেউ ভিড়ের মাঝে দিতে রাজি নয় বলে এজিএমকে জানালে,পাশে ছায়াযুক্ত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্যকে ডেকে বলেন, ওদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দাও বের করে দাও। আনসারদের কঠোর পদক্ষেপের কারণে, সচেতন মহলের ব্যক্তিগণ ওখান থেকে বের হয়ে বাইরে মেইন গেটের ওখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নজরে আসার পর, কথা বললাম এজিএম এর সঙ্গে,তিনি বললেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সকলকে বলেছি, কিন্তু কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেছে না। একটু এগিয়ে দেখা গেল, কিছু আনসার সদস্য ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে, তাদের দাঁড়িয়ে থাকার কারণ কি , এবং কেন এখানে দাঁড়িয়ে আছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনসার সদস্যরা বলেন, আপনাদের যদি কাজ থাকে তাহলে আপনারা ও পাশে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান। আমাদের কাজ আমরা পালন করব।
সারাদেশ যখন নোবেল করোনাভাইরাস মহামারীতে রূপ নিতে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মত, এত বড় একটা বড় সংগঠন, যেমন দায়িত্বহীনতা কেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সহ বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশ,নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে, ঠিক সেই সময় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে, এমন কর্মকাণ্ড টি অত্যন্ত হতাশাজনক এবং লজ্জাস্কর ব্যাপার।
বিষয়টি নিয়ে জিএম সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে, অফিসের ভেতর থেকে বাইরে অফিসিয়াল কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। কি রক্তের সচেতন করতে সেখানে বিপুল পরিমাণ আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। আনসারদের কর্তব্যরত কাজে অবহেলার বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি, পরবর্তীতে প্রায় এক ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর। আবারো সিএম সাহেবের কাছে মুঠোফোনে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম, এক ঘন্টা তো অতিবাহিত হলো আপনার আনসার সদস্যরা তো, কোন প্রকার জনসচেতনামলক
, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে, সাধারণ গ্রাহকদের কোন প্রকৃতির দেখা দিচ্ছে না। কারণ কি ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন, তিনি কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি।
বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি ঘটনা, আগামীতে যেন এই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য ঊরতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিদ্যুৎ বিল দিতে যাওয়া গ্রাহকের অনেক সচেতন মহল।
Please follow and like us: