সাতক্ষীরায় কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের মতবিনিময় সভা
‘‘কৃষি বাঁচাও, গ্রাম বাঁচাও-কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে শহরের রাধানগরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।স্থানীয় কৃষক আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. ফাইমুল হক কিসলু, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার চীফ রিপোর্টার মুনসুর রহমান।
কৃষক আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় ইউসুফ আলী, আজিজুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম আসা, মফিজুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সকলের সম্মতিতে ইউসুফ আলীকে আহবায়ক, আব্দুল আলিমকে যুগ্ম আহবায়ক ও আবুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আজিজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আসাদুল ইসলাম আসা, আব্দুল গফুর, মফিজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ইয়াছিন আরাফাত প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। এদেশের কৃষকরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসস্পূর্ণ করেছে। অথচ তাদের জীবন আজ দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বেশি দামে কৃষি উপকরণ কিনে উৎপাদিত ফসল কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। কৃষি অলাভজনক হওয়ায় ক্রমান্বয়ে কৃষকরা চাষাবাদে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষি ব্যবস্থাই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। মধ্যসত্বভোগী, ইজারাদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে দিশেহারা কৃষকরা। আজ শক্তিশালী কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব হবে না। চলতি বোরো মওসুমে/২০, সরকার ৮লক্ষ মে/টন ধান ২৬/-টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে সংগ্রহ করবে। তাই উৎপাদন ধরে রাখার স্বার্থে উৎপাদিত পন্য সরকারি ক্রয়ে প্রনোদনা যাতে কৃষকের ঘরে যায় তা সুনিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।