শ্যামনগরের জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত গেল কয়েক মাসে বাংলাদেশেও বেড়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমন। করোনা (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনগনের মাঝে সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়াতে এগিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। জেলার শ্যামনগর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে করোনাকালে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সামাজিক প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় দাতা সংস্থা ‘ইউকে এইড’ এবং ‘স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ’-এর সহযোগিতায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় ফ্রেন্ডশিপের এই বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা।
ফ্রেন্ডশিপের স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালক ডাঃ কাজী গোলাম রসুল জানান, করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে দক্ষিণ-পশ্চিমা লের জেলা সাতক্ষীরাসহ দেশের মোট ১১ জেলার ১৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নে চলছে ফ্রেন্ডশিপের বিশেষ কর্মসূচী। এসব এলাকায় তুলনামূলক বেশি বিপদের মুখোমুখি এমন পরিবারের সুস্বাস্থ্যে বিতরণ করা হয়েছে সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, ডিটারজেন্ট, বালতি, মগ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরিতে মাইকিং এর পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করেছেন ফ্রেন্ডশিপ কর্মীরা। ছাপানো হয়েছে কয়েক হাজার সচেতনামূলক পোস্টার। উপকূলীয় জনগোষ্ঠির মাঝে কর্মসূচী পরিচালনার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথেও কাজ করছে ফ্রেন্ডশিপ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত সেবাদানকারীদের মাঝে ফ্রেন্ডশিপ বিতরণ করেছে উন্নতমানের ‘ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক উপকরণ-পিপিই (পার্সনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) এবং মেডিকেল সামগ্রী।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, উপকূলের জনগনের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সময় কাজ করছে ফ্রেন্ডশিপ। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এখানকার জনগনের সুস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হয়েছে সংস্থাটি। এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী সফল করতে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় করছে ফ্রেন্ডশিপ।