শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধান কাটলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
বাগেরহাটে এবার হতদরিদ্র ও বর্গাচাষিদের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিচ্ছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১০ মে) বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামের কৃষক চিত্তরঞ্জন মন্ডলের ৫ বিঘা ও কার্তিক মণ্ডলের এক বিঘা জমির ধান কাটার মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন। স্বেচ্ছাশ্রমের এ মহতী উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে তিনিও ধান কাটেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
এ সময় যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রকৌশলী কামাল হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ফারহানা আক্তার, বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমি মণ্ডলসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১২০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধান কাটতে দেখে কৌতূহল বসত স্থানীয় মানুষ ভিড় করে কৃষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলের জমির পাশে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটায় কৃষকরাও খুশি।
কৃষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় ধান কাটার শ্রমিক সংকটে সোনার ফসল ঘরে তোলা নিয়ে খুব শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের জমির ধান কেটে দিলেন। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।
শিক্ষক ফারহানা আক্তার ও ঝিমি মণ্ডল বলেন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা হতদরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। কৃষকদের ধান যেন শ্রমিকের অভাবে মাঠে নষ্ট না হয় সে জন্য আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের ধান কেটে দিচ্ছি।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেন বলেন, ফসল ও ধান কৃষকের প্রাণ। আর কৃষক হলেন জাতির প্রাণ, রাষ্ট্রের প্রাণ। প্রত্যেক কৃষকের ঘরে আমাদের শিক্ষার্থী রয়েছে। কৃষকরা যদি সময়মত ধান ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাহলে আমার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কৃষকদের বাঁচাতে এবং যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। সব কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই হওয়া পর্যন্ত আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবেন।