শারীরিক প্রতিবন্ধীকে জেল খাটানোর অভিযোগ: জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মিথ্যো মামলায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে জেল খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলার শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালী গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ সানার ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সানার ছেলে মোঃ রবিউল ইসলামের সাথে জমি-জমা নিয়ে আমাদের বিরোধ রয়েছে। উক্ত বিষয়ে আদালতে দেং ৪০/২০ নং একটি মামলাও চলমান রয়েছে। কিন্তু রবিউল ইসলাম অর্থশালী হওয়ায় মামলার রায়ের অপেক্ষা না করে পুলিশকে ব্যবহার আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতেও তার স্বার্থ রক্ষা না হওয়ায় শ্যামনগর থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে আমাদের কয়েকটি পরিবারের ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে মারপিটের মামলা দায়ের করে। এই মামলার ৩ নং অসামী মাসুম সানা আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এজাহারে তার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ মাসুম সানা নিজে একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। এছাড়া মামলায় গত ৩০ এপ্রিল যে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ওই সময় রবিউল গংদের সাথে আমাদের কারও কোন দেখা হয়নি এবং ওই দিন ওই সময়ে এধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। যা এলাকাবাসী অবগত আছেন।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে রবিউল গংরা শ্যামনগর থানার দুইজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে যায় ঘটনাস্থলে। তারা সরেজমিনে দেখে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক জায়গায় বসে উভয়ের মধ্যকার বিরোধ মিমাংসা করা হবে বলে আশ^াস্ত করেন। অথচ ৩ এপ্রিল রাত ১টার দিকে হঠাৎ পুলিশ এসে প্রতিবন্ধী মাসুম সানাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি রবিউল গংরা মিথ্যে মারপিটের নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, মহামারি করোনার প্রভাব পড়েছে সাতক্ষীরাতেও। এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমরা দ্বীন মজুর শ্রেণির হওয়ায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছিলাম। আর এ সুযোগে ওই কুচক্রী রবিউল মিথ্যে মামলা করে আমাদেরকে দিশেহারা করে তুলেছে। একজন আটক হলেও বাকী আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে মিথ্যে মামলার দায় মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে সবাই মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমাদের পলাতক থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে রবিউল গংরা ৪ মে সোমবার সকাল ৯টার দিকে লোকজন দিয়ে আমাদের সম্পত্তির ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা চালায় এবং পরিবারের মহিলাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে।

তিনি এই মহামারী পরিস্থিতিতে নাটক সাজিয়ে মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)