হরিনগর চা দোকানি সালমার সন্ত্রাসী কর্মের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে মথুরাপুর গ্রামের সাবেদ আলী গাজীর মেয়ে (৩৬) চা দোকানি সালমার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে দোকানদার ও এলাকাবাসী তার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছে। জানা যায়, হরিনগর বাজারে মহিলা মার্কেটে চা দোকানি সালমা খাতুন কয়েক বছর ধরে চা বিক্রি করে আসছে এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতি ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন। লোক দেখানো চা দোকান আড়াল করে হয়ে উঠেছে ভীষণ বেপরোয়া। সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত যখন-তখন যেনতেনভাবে যেকোনো মানুষের অপমান করতে দ্বিধাবোধ করে না সে যেন হয়ে উঠেছে বড় সন্ত্রাসী। নেই কোন মান সম্মানের ভয়। কারণে-অকারণে যাকে তাকে ধরে মারধর ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। চা দোকানি মহিলা হওয়ায় তাকে যেন কেউ কিছু বলতে পারবে না এমনটি মনে করে।
গত ৩-৪ মাস আগে হরিনগর গ্রামের নাজমুল হোসেনকে ইউপি সদস্য শেখ মোস্তফা কামালের সামনে ও মারধর করে। বর্তমান করোনায় চার দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকলেও চা দোকানি দোকান খোলা রাখলে হরিনগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ তার দোকান বন্ধ করতে বললে এক পর্যায়ে তাকে অপমান করে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত ২৯/ ৪/ ২০২০ তারিখে হরিনগর এ গনি ফলের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে দোকানদার ও স্থানীয় জনসম্মুখে সামান্য বিষয় নিয়ে কুলতলী গ্রামের গনি খাঁর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী হোসেন খাঁ কে গালিগালাজ ও জুতাপেটা করে।দোকানদাররা ও বাজার কমিটির সদস্যরা বলেন শুধু সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ক্ষান্ত না বহিরাগত মহিলা ম্যানেজ করে বিভিন্ন মানুষের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করায়। দিনে দিনে বাড়ছে তার অসামাজিক আচরণ । এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে মিথ্যাভাবে মামলার হুমকি দেয়। হরিনগর বাজারে দোকানদার সহ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে সন্ত্রাসী সালমার কার্যকলাপ ধান্দাবাজি বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসক ও শ্যামনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন