আশাশুনির পল্লীতে গ্রাম্য ডাক্তারের অসমাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরা

আশাশুনি পল্লীতে এক গৃহবধুর সাথে গ্রাম্য ডাক্তারের অসমাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধৃত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। পরে সকালে জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনা টি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় দিকে উপজেলা খাজরা ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, হেতালবুনিয়া গ্রামের ডা:রবিন হালদারের লম্পট পুত্র বহু অপকর্মের হুতা গ্রাম্য ডাক্তার মিলন হালদারের সাথে ঘুঘুমারী গ্রামের কন্যা ও হেতালবুনিয় গ্রামের এক গৃহবধুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে গত ২/৩ বছর আগে। এর সুবাদে প্রায় মিলন তার বাড়িতে যাতায়াত করত। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধুটি বাপের বাড়ি ঘুঘুমারী অবস্থান করছিল । সেই সুবাদে লম্পট মিলন রাতে ওই গৃহবধুর বাপের বাড়িতে গিয়ে অসমাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এসময় স্থানীয় যুবকরা জানতে পেরে হাতেনাতে ধরে ফেলে। শুক্রবার সকালে দুই ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে নগদ (বিকাশের মাধ্যমে)দশ হাজার টাকাসহ মোট ত্রিশ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। সালিশ বৈঠাকে উপস্থিত ছিলেন মেম্বর নীলকন্ঠ সানা, মিলনের পিতা রবিন হালদার,রনজিত গাইন,মনোজিত সানা, সদানন্দ সানা, রবিন মন্ডল, সুব্রত সরকার,মৃনাল সানা সহ এলাকার অর্ধাশতাধিক যুবকরা। নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, গ্রাম্য ডাক্তার মিলন হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারি, বেল পাতা খাওয়ায়ে কাম শক্তি নষ্টকরার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি প্রেম করে গোপালগঞ্জ থেকে এক মেয়ে বিয়ে করলেও গত ৩মাস আগে লম্পট স্বামীর অত্যাচারে সহিতেনা পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে সে। এদিকে শুক্রবার বিকালে স্থানীয় সাংবাদিদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়।

তবে অভিযুক্ত মিলনের পিতা ডা:রবিন হালদার জানান, তার ছেলেকে রাতে ফোন করে পেটে ব্যথা হচ্ছে বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)