আশাশুনির কাদাকাটিতে রাস্তাকেটে ঘেরে পরিণত করার অভিযোগ
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে রাস্তার মাটি কেটে ঘেরের সাথে মিশিয়ে দেওয়ায় গাছগাছালি পড়ে যাওয়াসহ রাস্তার অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাদাকাটি ইউনিয়নের হলদেপোতা থেকে হরিহরনগর যাতয়াতের জন্য দীর্ঘদিনের মাটির রাস্তা ছিল। রাস্তাটিতে পায়ে হেঁটে চলাচল করা হতো। এটি দিয়ে ভালভাবে চলাচলের জন্য তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আ ক ম মোর্তাজুল হক রাস্তাটিতে মাটির কাজ করিয়ে ছিলেন। তখন থেকে শুকনো মৌসুমে এলাকার মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করে সহজে ও স্বল্প সময়ে যাতয়াত করে আসছিল। পরবর্তীতে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হক এনজিওর সহযোগিতায় মাটির কাজ করিয়ে রাস্তাটি অনেক বড় ও যানবাহন চলাচলের উপযোগি করেন। সে সময় প্রস্তাব ছিল রাস্তাটি ইটের সোলিং অথবা কার্পেটিং এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পুরন করা হবে। মাটির কাজের পরপরই রাস্তায় অসংখ্য গাছের চারা বিশেষ করে বাবলা গাছের বীজ বপন করা হয়েছিল। বর্তমানে রাস্তাটি বড় বড় বাবলা গাছে সুশোভিত হয়ে আছে। রাতদিন অসংখ্য মানুষ এই পথে যাতয়াত করে থাকে। কিন্তু কিছু অসাধু মৎস্য চাষীর কুটকৌশলে রাস্তাটি প্রাণ হারাতে বসেছে।
সুশোভিত গাছগুলো সমুলে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খলিসখালী গ্রামের হাসানুর রহমান, কাদাকাটি গ্রামের শামসুদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন রাস্তার দুই পাশের মাটি কেটে রাস্তাকে ঘেরের সাথে মিশিয়ে জমি দখলের কাজ করে আসছেন। মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তার পরিধি পরিবর্তন ও সরকারি গাছ মৎস্য ঘেরেন মধ্যে উপড়ে পড়ছে। ঘের মালিকরা এসুযোগে গাছ কেটে নিচ্ছে বা কর্তনের পায়তার চালাচ্ছেন। এলাকাবাসী এব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দোর দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। এখন জেনেছি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার জানান, এ সম্পর্কে আমার কিছুই জানানেই। মঙ্গলবার সরেজমিন দেখে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।